দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলায় বিভিন্ন হাট বাজার ও রাস্তার পাশে কাঁঠাল গাছের পাতা বিক্রি করে অনেকেই জীবিকা নির্ভর করছেন। প্রতিদিন পৌর শহরের  আঞ্চলিক মহাসড়কের  পাশে, অলিতে গলিতে,  কাঁঠালের পাতার রমা ব্যবসা জমে উঠেছে।

দেশের সব অঞ্চলেই কম বেশি কাঁঠালের গাছ রয়েছে। কাঁঠালের চাহিদা থাকলেও কাঁঠাল গাছের পাতার চাহিদা তেমন একটা ছিল না। বর্তমান সময়ের পরিবর্তনের সাথে কাঁঠালের পাশাপাশি কাঁঠাল পাতার চাহিদা বেড়েছে। গ্রামের একৃ অর্থনীতিতে কাঁঠালের পাতা এখন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে । গ্রাম অঞ্চলে ছাগল ভেড়াকে  কাঁঠালের পাতা খাওয়ানো হয়।

দেখা গেছে গ্রামের প্রায়  পরিবারেই  ২/৪ টি করে ছাগল ভেড়া পালন করছেন। এছাড়াও বিরামপুর উপজেলায় ছাগলের খামারও গড়ে উঠেছে।  ছাগল ভেড়ার অন্যতম খাবার হচ্ছে কাঁঠালের পাতা। প্রভাব পড়েছে পাতার উপর।  ফলে কদর বেড়েছে কাঁঠাল পাতার।

সরি জমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের কলেজ বাজার, শালবাগান ,রেলগেট সংলগ্ন পুরাতন, বাজার নতুন বাজারে ভোর থেকে রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়ির উপর পাতার আঁটি বেঁধে থরে থরে সাজিয়ে  রাখছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী হামিদুল জানান, তিনি রংপুরে পীরগঞ্জ, হরিপুর, কাজদহো ঘাট,খালাস পীর থেকে ভ্যানে করে কাঁঠালের পাতা নিয়ে আসে। ব্যবসায়ীরা গাছের মালিকের নিকট থেকে প্রতিটি কাঁঠাল গাছ পাতা উপর নির্ভর করে ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকায় গাছ ক্রয় করে থাকেন।

এবং প্রতিটি গাছের পাতা বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত । কাঁঠাল পাতার আটি বেঁধে পাইকারি  প্রতি আটি ১৫ টাকায় বিক্রয় করা হয়।  খুচরা পাতা ব্যবসায়ী সুখলাল জানান, কাঁঠাল গাছের প্রতি আটি ১৫ টাকায় ক্রয় করে খুচরা ২০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হয় । সে প্রতিদিন প্রায় একশত থেকে দেড় শত আটি বিক্রি করে থাকে।  প্রচুর কাঁঠালের পাতার চাহিদা থাকায় মাঝে মাঝে কাঁঠালের পাতার সরবরাহ কমে। তখন ক্রেতারা কাঁঠালের পাতার সংকট সমস্যায় পড়েন।