হানিফুর আলী, স্টাফ রিপোর্টার: ঠাকুরগাঁওয়ে হাওলাদার এগ্রোর গবাদি পশুকে ভুট্রার কচি গাছ ও মিল্কি ভুট্রা, ভিটামিন, প্রোটিন যুক্ত সাইলেজ খাওয়ানোর কার্যকারিতা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত। গবাদি পশুর নিরাপদ দুধ ও মাংস উৎপাদন এবং খামারিদের খামার ব্যবস্থাপনা গো খাদ্য খরচ কমানোর লক্ষ্যে সাইলেজ খাওয়ানোর কার্যকারিতা বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাওলাদার এগ্রোর গবাদি পশুকে সাইলেজ খাওয়ানোর কার্যকারিতা বিষয়ক কর্মশালা।
উক্ত অনুষ্ঠানে জেলার সকল ধরনের খামারী খুদ্র গো খাদ্য ব্যবসায়ী জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ৮মে ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুরে হাওলাদার হিমাগারে হাওলাদার এগ্রোর আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইজহার আহমেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান, জেলা ভেটেরিনারি সার্জন
ডা. মামুন শাহ, এবং ইএসডিওর আরএমটিপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. বাবুল চন্দ্র বর্মন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন হাওলাদার এগ্রোর পরিচালক গোলাম সারোয়ার রবিন। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে সম্পূর্ণ অটোমেটিক মেশিনে মানসম্পন্ন ও নিরাপদ গো-খাদ্য সাইলেজ উৎপাদন ও বিপণনের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী কাজ।
হাওলাদার এগ্রোর। দিন ব্যাপী এই আলোচনায় কিভাবে ছোট উদক্ত্যা ও খামারিদের খরচ কমিয়ে লাভজনক ভাবে খামার পরিচালনায় সহায়ক হবে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনায় তিনি খামারিদের উদ্দেশ্যে গো খাদ্য সাইলেজের গুণাগুণ, ব্যবহার ও সংরক্ষণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনাও প্রদান করেন। এই গো খাদ্য অনেক কম মুল্যে খুচরা ব্যবসায়ী, ছোট খামারী, ব্যক্তিগত ভাবে কিনতে পারবেন। যার গুনগত মান অনেক ভালো।
পরিশেষে সকলে হাওলাদার এগ্রো সাইলেজ প্লান্ট পরিদর্শন করেন এবং চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার রবিন উদক্ত্যা,খামারী, ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উক্ত প্লান্টে কিভাবে সাইলেজ গো খাদ্য প্রস্তুত করা হয় সে বিষয় বিস্তারিত জানান।