ডাঃ নুরল হক,বিরামপুর প্রতিনিধি: বুধবার দুপুরে ১২ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত জেলার বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলিতে দুর্নীতি দমন কমিশন জটিকা অভিযান শুরু করেন।
দিনাজপুর জেলা দুর্নীতি কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশারের নেতৃত্বে একটি দল বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলিতে জটিকা অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান শেষে দুদক জানান, দুপুর ১২ টায় বিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিভিল ড্রেসে দুদক সরে জমিনে প্রদর্শনে সার্বিক পরিস্থিতি কি জানার চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে প্রকাশ্যে অভিযানে ল্যাব টেকনোলজিতে টেস্ট এর পরিমাণ কম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাভাবিকভাবে যতগুলো রোগী সেবা প্রত্যাশী আসার কথা এর থেকে পরিমাণ অনেক কম ।
প্রতিদিন ৪-৫ জন সেবা নিচ্ছে যা উপজেলা জনসংখ্যা অনুপাতে অনেক কম। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালের দৌরত্ব বেশি। দুই জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছেন তাদের একজনের স্ত্রীর নামে আরেকজন বাবার নামে ডাইনোস্টিক সেন্টার ও হাসপাতাল রয়েছে। প্রতিয়মান হয় যে রোগী সুপারিশে হাসপাতাল থেকে রোগী ডাইনেস্টিক সেন্টার এর দিকে যাচ্ছে। খাবার নিম্ন মানের ও পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয় না ।
উপস্থিত দেখা যায় মুরগির মাংসের পরিবর্তে সামান্য মাছ ও ভাতের পরিমাণ কম দেওয়া হয়েছে। খাবারের চাট সূবিনন্থ নয়। কোন দিন কি খাবার দেওয়া হবে তা খাবারের চাটে নেই। স্টোর নিয়মিত আপডেট নেই। স্টোর কিপার অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাছে ব্যস্ত থাকে। প্রতিটি পয়েন্টের অনিয়ম ও দুর্নীতি পরিলক্ষিত হওয়ায় দ্রুত নিষ্কৃতির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তার শাহরিয়ার পারভেজকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন দিনাজপুর জানান, প্রতিটি উপজেলায় হাসপাতাল ও যতগুলি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে তাদের জনবল, চিকিৎসার মান , লাইসেন্স, টেকনিশিয়ান (প্যাথলজিস্ট) শয্যা অনুযায়ী চিকিৎসক ,নার্স আছে কিনা সেগুলো দেখা হচ্ছে।
বিরামপুর উপজেলায় বেশকিছু ডাইনেস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়েছে অধিকাংশ সেন্টারে চিকিৎসক খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের ভিতরে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার মতো পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়নি। ল্যাব গুলিতে প্যাথলজিস্ট ছাড়া রিপোর্ট দিয়ে থাকেন। তাদের মৌখিকভাবে সময় দেওয়া হয়েছে পরবর্তী পরিদর্শনে কোন ধরনের দুর্বলতা যেন না পাওয়া যায়।