আবুল কাশেম,ভোলা প্রতিনিধি: নৌ-বাহিনীর অভিযানকারীদের সাথে ঘনিষ্ঠ লিঁয়াজো বাণিজ্য থাকায় নৌ-পুলিশের অভিযানে ভোলা জেলার কোন উপজেলার কোন অপরাধীও আসামী ধরা পড়ে না।
নৌ পুলিশের অধুনা অভিযানে ২৭৬ জন গ্রেফতার, ১০ মরদেহ উদ্ধার হয়েছ। গ্রেফতারকৃতদের একজনও ভোলা জেলার নয়। অভিযানে জব্দ করা অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছে। কিছু জাল চোরাই বাজারে বিক্রি হয়েছে। দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও নৌ-পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে নৌ-পুলিশ দেশব্যাপী বিভিন্ন অভিযানে গত এক সপ্তাহে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ কারেন্ট জাল, রেনু মাছ ও মাছের পোনা উদ্ধার করেছে।
অবৈধ মৎস্য শিকারী, মাঝি-মাল্লা ও জল দস্যূ সহ ২৭৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় ১০টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ৮ই মে, ২০২৫ ইং তারিখে নৌ পুলিশের সদর দফতর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত সাত দিনব্যাপী নৌ-পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে মোট ২ কোটি ৩৪ লাখ ৮৫ হাজার ১১৫ মিটার অবৈধ জাল, ৫ হাজার ৫৮৭ কেজি মাছ, ১০ লাখ ৬০ হাজার চিংড়ীর রেনু পোনা, ৯৬০ কেজি জেলীযুক্ত চিংড়ী মাছ জব্দ করা হয় এবং এসময় নদী থেকে ৫৪৫টি ঝোঁপ-ঝাড় ধ্বংস করা হয়।
নৌ পুলিশের এই অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না পাওয়ায় ১০৫টি বাল্কহেডের বিরুদ্ধে নৌ-আদালতে প্রসিকিউশন দায়ের করা হয় এবং মাত্র ১ একটি ড্রেজার জব্দ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, এই অভিযানে ২৭৬ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২১টি মৎস্য, পাঁচটি মাদক, ১৪টি বেপরোয়া, পাঁচ অপমৃত্যু, একটি হত্যা, তিনটি বালুমহল, একটি বিশেষ ক্ষমতা ও একটি চাঁদাবাজি মামলাসহ মোট ৫১টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ১০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জব্দ করা অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছে। মাছ এতিমখানায় বিতরণ এবং মাছের রেনু পোনা পানিতে অবমুক্ত করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। অনুমতি দেওয়া ছবিতে- নৌবাহনীর জাল ধ্বংস করন।