রফিকুল ইসলাম জিলু, ব্যুরো প্রধান ঢাকা: গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার ও রাবার জাতীয় বর্জ্য পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে জ্বালানি তেল ও কার্বন। সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় পাশে কৃষি জমিতে গড়ে তোলা এসব অবৈধ কারখানার কালো ধোঁয়া, দুর্গন্ধ ও বিষাক্ত গ্যাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকায় ছড়াচ্ছে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন ও মিথেনসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক গ্যাস। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাকুর্তা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার পুড়িয়ে অবৈধভাবে ফার্নেস অয়েল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সারাদিন সারারাত ট্রাকযোগে গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার কারখানাগুলোতে আসে। সেই টায়ার গুলো শ্রমিকরা বড় বড় বয়লার মেশিনে ঢুকিয়ে রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে তেল বের করেন। সেই তেল গাড়িতে করে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হয়।
এসব কারখানার পোড়া টায়ারের উৎকট গন্ধ আর বাতাসে ওড়া কার্বনে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গাছপালা, কমে গেছে ফসলের উৎপাদন। এলাকাবাসী বারবার উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না। এদিকে এলাকাবাসী এসব অবৈধ কারখানা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান প্রশাসনের কাছে।
পরিবেশ ছাড়পত্র ব্যতীত ক্ষতিকর রিসাইক্লিং টায়ার কারখানা পরিচালনা করার দায়ে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে এসব কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে কৃষকরা আহবান জানিয়েছেন।কারখানার শ্রমিকদেরও দেয়া হয়নি বিশেষ পোশাক। সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আবুবকর সরকার বলেন, দ্রুত তদন্ত করে কারখানা গুলোর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।