মোক্তারুজ্জামান মোক্তারপার্বতীপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানির ১৭৪ জন শ্রমিক চাকুরি পুনঃবহালের দাবিতে আজ ১৮ মে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে কয়লাখনির মেইন গেটের সামনেই মানববন্ধন পালন করেছে। মানববন্ধনে সকল শ্রমিকের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, জে, এস,জে,জে নং- ০৩ লিটনখান,জেজে,এস,,জে নং-০৫৪ শহিবুল ইসলাম বাবু, জে,এস,,জে,জে নং-০১ মোঃ আশাদুজ্জামান,জে,এস,,জে,জে নং-০৬৫ মেহেদি হাসান তারা
জানান বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কারণে আমাদের জমি-জমা, ঘরবাড়ি, কবরস্থান, মসজিদ মাদ্রাসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সময় বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকদের আশ্বাস দেন যে, প্রত্যেক পরিবার হতে একজন করে চাকুরি পাবে। সেই কথার প্রেক্ষিতে ২০ গ্রাম কমিটির মাধ্যমে আমাদের গত ০৮/০৬/২০১৮ ইং তারিখে কাজে যোগদান করানো হয়। আমরা গত সাত বছর ১৪০০-ফ্রিট মাটির নিচে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসতেছি। যখন আমরা বুঝতে পারলাম যে, আমাদের ১৭৪ জন শ্রমিক বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানির সাব কন্টাক্টর কোম্পানিতে কাজ দিযেছে। তখন আমরা এর প্রতিবাদ করলে বিসিএমসিএল এর বর্তমান ব্যবস্থাপক এবং তখনকার সময়ের মাইনিং ব্যবস্থাপক কথা দিয়েছিল যে বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানির সকল শ্রমিক সবাই সমান।
তোমাদের কাজ শেষ হলেই বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানির মূল কন্ট্রাক এ অন্তর্ভুক্ত করা হবে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেটা করে নাই। উপরন্তু অফিস কর্তৃপক্ষ ০৬/০৫/২০২৫ ইং তারিখে জানায় যে আমাদের আনুমানিক ৪-৫ মাস কাজ আছে। এবং আরো বলে কাজের মধ্যে কোন রকম দুর্ঘটনা জনিত কারণে শ্রমিকদের কোন সমস্য হলে বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানি কোন দায়ভার নিবে না। তৎক্ষনিক শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানায় এবং কর্মবিরতিতে যায়। আমরা ১৭৪ জন শ্রমিক আজ মানবতার দিন কাটাচ্ছি। আমাদের রুজি রোজগার প্রায় বন্ধের পথে। আমরা কোম্পানি থেকে এখনো বেতন নেয়নি। আমাদের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা বেতন নিবো না।
আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোক। আমাদের জমি-জমা নাই। যেখানে আমরা চাষবাস করে আমাদের জীবীকা নির্ভর করতে পারছিনা। যখন আমরা কোম্পানিতে যোগদান করি তখন আমাদের বয়স ছিল সর্বনিম্ন ২২ থেকে ২৯ বছর। আজ সাত বছর পরে আমাদের বযস দাঁড়িযেছে ৩৪ থেকে ৩৬ বছর। এ অবস্হায় আমরা এখন কোথায় যাব। কোথায় কাজ পাব। কোথায় কাজ করব এ নিশ্চিয়তা কে আমাদের প্রদান করবে। এছাড়া আমরা যখন কাজে যোগদান করি সে সময় বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়লা খনি যতদিন স্বচল থাকবে ততদিন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সকল শ্রমিকদের চাকুরি বহাল থাকবে।
তাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী হিসেবে আমরা আমাদের চাকুরির নিশ্চয়তা চাই। আজ আমরা এই মানববন্ধনের মধ্যে বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানি উর্ধতন কর্তৃপক্ষেকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমের্টাম দিচ্ছি। আমাদের দাবি মেনে নিন নইলে কঠোর আন্দোলনের কথা জানান।