মোক্তারুজ্জামান মোক্তার,পার্বতীপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌর সভার ইরি বোর ধানের গাছে ক্যারেন্ট ও ব্লাষ্ট পোকার আক্রমনে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, চলতি ইরি বোর মৌসমে পাব্তীপুর উপজেলায় ২২ হাজার ৭ শত ৯৬ হেক্টর জমিতে উপষী এবং হাইব্রিড জাতের ধান রোপন করার লক্ষ্য মাত্রা নিধার্রন করা হয়।
গত বছরের চেযে এবার ২৮ হেক্টর জমিতে কৃষকরা উপষী এবং হাইব্রীড জাতের ধান রোপন করে । ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১ লক্ষ্য ৫৬ হাজার ১ শত ৭০ মেঃটন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলেও ইরি বোর ধান পাকার শুরুতে ক্যারেন্ট ও ব্লাষ্ট পোকার আক্রমন দেখা দেয়। উপজেলার পৌর সভার মধো সরকার পাড়া, রামপুর, মাঝাপাড়া,নামাপাড়া, নয়া পাড়া, ১।
বেলাই চন্ডি ইউনিয়ের কৈপুলকি, বান্নিরঘাট,,শাহাপাড়া,
হরিরামপুর বেনিহাট,দেবিডুবা এলাকা, ২ মনম্থপুর ইউনিয়নে দোলাপাড়া,দাগলাগজ্ঞ, ডাংগাপাড়া রাজবাসর, চোট হরিপুর, চাকলা বাজার, নারায়নপুর, ৩ নং রামপুর ইউপির মন্ডলপাড়া, সুন্দরিপাড়া, বাসুপাড়া, ডাংগাপাড়া,চান্দের ডাংগা, রামপুর তালতলা, সিংগীমারী, দরিখামার, জমিরের হাট, বৃত্তিপাড়া, ৪ নং পলাশবাড়ি ইউপির ডাংগাট, মথুরাপুর, গোয়াল পাড়া,চকবলিযা, পলাশবাড়ি, ৫ নং চন্ডিপুর ইউপির জাহানাবাদ মন্ডলপাড়া, বাজরপাড়া, মামু পাড়া, বড় হরিপুর, পোদ্দার পাড়া,বছিরবানিযা, দক্ষিন শালন্দার, ৬ নং মমিনপুর ইউপির সর্দারপাড়া, মমিনপুর, যশাই, দো আনিয়া, তের আনিয়া,শালবাড়ি, যশাই সৈযদপুর, চন্দ্রপুর, ৭নং মোস্তফাপুর ইউপির আমবাড়ি মোস্তফাপুর, শিয়াল কোট, হরিহরপুর, কামারপাড়া ৮নং হাবড়া ইউপির রসুলপুর হাবড়া, ভবানীপুর, সাহাপাড়া, কালুপাড়া পন্তাপাড়া, ৯নং হামিদপুর ইউপির বড়পুকুরিযা, পাচপুকুরিযা, ১০ নং হরিরামপুর ইউপির খয়েরপুকুর ঢেরেরহাট,মধ্যপাড়া,উত্তরা, আনন্দবাজারসহ আরো অনেক এলাকায় ক্যারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দিযেছে সবচেযে বেশি।
কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে জমিতে কীটনাষক ছিটানোর পরও কোন কাজ হচ্ছে না। এব্যাপারে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ক্যারেন্ট পোকার উপদ্রব। দঃ রামপুরা সরকার পাড়া গ্রামের আবেদ আলী জয়নাল আবেদীন রামপুর রঘুনাথপুর গ্রামের শামসুল হক মজিবার রহমান চন্ডিপুর জাহানাবাদ গ্রামের আমজাদ হোসেন মহুবার রহমান, তফলে উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, মোস্তফাপুর গ্রামের জাকিরুল ইসলাম আজিবার রহমান, মফলে সরকার, চন্দপুর গ্রামের নারায়ন চন্দ্র, ক্ষিতিষ রায়, মুকুল চন্দ্র পলাশবাড়ি গ্রামের মোখরেছুর রহমান, হবিবার রহমান সহ আরো অনেক দৈনিক আমার সংগ্রাম কে বলেন, আমরা নিয়মিত জমিতে কীটনাষক স্প্রে করছি। তারপরও কোন কাজ হচ্ছে না।
কৃষি অফিসের বিএসরা যে বলে সেই ভাবে আমরা ঔষধ ক্রয় করি। ধান পাক ধরছে তার পরো ক্যারেন্ট পোকার আক্রমন দেখা দিযেছে। আমরা যে আশা নিয়ে এবার জমি থেকে ধান বাড়িতে নিয়া আসবো তার উপায় নাই। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিব বলেন আমি মাসিক মিটিং উপজেলায় আছি। এ ব্যাপারে, পরে কথা বলব। পরে অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সাজেদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আবহাওয়া জনিত কারণে কারেন্ট পোকা দেখা দিচ্ছে। এরপরও আমরা প্রতিকারের বিষয়ে কৃষকদের পরার্মশ দেয়ার কথা জানান ।