ডাঃ নুরল হক,বিরামপুর প্রতিনিধি: প্রাকৃতিক দুর্যোগে বজ্রপাত থেকে রক্ষাকারী হিসেবে তাল গাছের তুলনা হয় না। তাছাড়াও তাল গাছের তালের শাঁস পুষ্টি গুনে ভরপুর। গ্রীস্মের গরমে ক্লান্ত শরীরকে প্রশান্তি ও তৃষ্ণা মেটাতে তালের শাঁস ছোট বড় সবারই প্রিয়। গ্রীষ্মের দিনে কাঁচা তালের শাঁস খুবই প্রিয় একটি খাবার।
তালের শাঁসকে নারিকেলের মতো পুষ্টিগুণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানি শূন্যতাকে দূর করে। প্রাকৃতিক ভাবে দেহকে রাখে ক্লান্ত হীন। এন্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার খনিজ উপাদান মিলে এতে। লিভার ভালো রাখে, রক্তশূন্যতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করে। মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ১ শ গ্রাম তাল শাঁসে ৮৭ কিলো ক্যালরি, ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৮. ৬ গ্রাম জলীয় অংশ, ৩৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস ৮ গ্রাম আমিষ, ১০.৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ মিলিগ্রাম লৌহ .০৪ গ্রাম থিয়ামিন, ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, এসব উপাদান শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করা সহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
প্রখর রৌদ্রতাপে বিরামপুর পৌর শহরের মোড়ে মোড়ে রাস্তার পাশে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। পূর্ব পাড়া নিবাসী সুজন আলী কাঁচা তালের ভিতর থেকে নরম তুলতুলে সাদা ঠাণ্ডা শাঁস বের করতে ব্যস্ত। সে ৮/১০ বছর যাবত তাল ব্যবসার সাথে জড়িত। সে আক্কেলপুর, তিলকপুর ও নওগাঁ থেকে কাদি কাদি তাল নিয়ে আসে। ওই এলাকায় ক্ষেত খামারের ধারে ধারে প্রচুর তালগাছ রয়েছে। তাল গাছ মালিকদের নিকট থেকে তাল শত হিসেবে ক্রয় করা হয়। একশত তাল আকার ভেদে ৫ শত থেকে ৮শত টাকায় ক্রয় করা হয়।
খুচরা বাজারে আকার ভেদে বিশ টাকা থেকে ৩০ টাকা বিক্রি হয় এবং একটি তাল থেকে তিনটি বা চারটি শাঁস বের হয়। বছরে এ সময় তাল শাঁসের ব্যবসায়ে তার খরচ বাদে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন হয়। সে আরও জানায় , গ্রীস্মের প্রখর রৌদ্রের তাপদাহে তাল শাঁসের চাহিদা প্রচুর। চাহিদার কারণে তাল কেটে শাঁস বের করার ফুরসত নেই।অনেকে পরিবার পরিজনের জন্য তালের শাঁস বাড়িতে নিয়ে যান।