admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৯ মার্চ, ২০২৩ ৭:২০ অপরাহ্ণ
মারুফ সরকার,স্টাফ রির্পোটারঃ সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে রায় কার্যকর করা হোক। আলোচিত এ হত্যাকান্ডের দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কোন কুলকিনারা হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ৯৬ বার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ পিছাল। সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে কোন তালবাহানা সাংবাদিক সমাজ মেনে নিবে না।
আজ ৮ মার্চ সকাল ১০টায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ন্যাশনাল সবুজ বাংলা পার্টি’র মহাসচিব সৈয়দ আহমদ শফী আশরাফী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন- আজ সাংবাদিক সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সারাদেশে মামলা হামলার শিকার হচ্ছে। তুচ্ছ কারণে খুন খারাবি পর্যন্ত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন-সকল সাংবাদিকদের জন্য সরকারী ভাতা চালু করতে হবে। তাদের সরকারী সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। তাদের জীবনমানের উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। যাতে, সাংবাদিকরা নির্বিগ্নে দায়িত্ব পালন করতে পারে। যেন, আর কোন সাগর- রুনিকে এভাবে ঘাতকদের হাতে জীবন দিতে না হয়।
ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি। সেই থেকে এক দশক পেরিয়ে গেছে। কিন্তু তদন্তে অগ্রগতি নেই। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় তদন্ত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। তবে নয় বছর পেরিয়ে একাধিক সংস্থার হাত বদলেও দাখিল হয়নি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে ইতোমধ্যে আদালত থেকে ৮৫ বার সময় নেওয়া হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। সেদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ধার্য করেন।
২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে একই বছর ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রায় একই রকম অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। যেই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দু’জন অপরিচিত ব্যক্তি জড়িত ছিল। সাগরের হাতে বাধা চাদর এবং রুনির টি-শার্টে ওই দুই ব্যক্তির ডিএনএ’র প্রমাণ মিলেছে। অপরাধীদের শনাক্ত করতে ডিএনএ রিপোর্ট প্রস্তুতকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি ল্যাব যথাক্রমে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস এবং প্যারাবন স্ন্যাপশট ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্তমানে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। প্রতিষ্ঠান দু’টি ডিএনএ’র মাধ্যমে অপরাধীর ছবি বা অবয়ব প্রস্তুতের প্রচেষ্টায় কাজ করে যাচ্ছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাব থেকে ফরেনসিক রিপোর্ট না পাওয়াকেই তদন্তে বিলম্বের কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি এএনএম ইমরান খান সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিএনএ ও ফরেনসিক রিপোর্ট না পাওয়ার কারণেই তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। অন্যান্য তদন্ত চলছে। সন্দেহভাজন কিছু আসামিও গ্রেফতার আছেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে বাকিটা এখন ডিএনএ ও ফরেনসিক রিপোর্ট প্রাপ্তির ওপর নির্ভর করছে।