admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ১২:৫৭ অপরাহ্ণ
মোঃ জুলহাস উদ্দীন, স্টাফ রিপোর্টরঃপঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় ৬.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে উত্তরের সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়া। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে সোমবার সকাল ৯ টায় রেকর্ড হয়েছে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিনদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের এ জনপদ। সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা। শীতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে ছোটখাটো যানবাহন ভ্যান চালক মানুষগুলো। তীব্র শীতের প্রকোপে সকালে কাজে যেতে পারছেন না অনেকে। তবুও জীবিকার তাগিদে কেউ পাথর তুলতে, কেউ চা-বাগানে আবার কেউ দিনমজুরের কাজ করতে যাচ্ছেন। এসব মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার যে ত্রাণ দিয়েছে তা একেবারেই অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
চা শ্রমিক আব্দুল জব্বার ,শাহজালাল জানান, সকালে বরফের মতো ঠান্ডা। চা বাগানে কাজ করতে গেলে হাত-পা যেন অবশ হয়ে আসে। কিন্তু জীবিকার তাগিদে কাজে বের হতে হয় আমাদের।পাথর শ্রমিক সিদ্দিক রবিউল ইমদাদুল জানান, ঠান্ডায় নদীর পানি বরফের মত মনে হয়। তারপরেও আমাদের পাথরই জীবিকা। তাই কাজে বেড়িয়েছি। কদিন ধরে নদীর ঠান্ডা পানিতে কাজ করে জ্বর-সর্দিতে ভুগলাম। ক্ষুধার্ত পেটতো ঠান্ডা বুঝে না। কিন্তু পরিবারের কথা চিন্তা করে সকালেই পাথর তোলার সরঞ্জাম নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছি। একই কথা জানান কয়েকজন দিন মজুর ও নারী পাথর শ্রমিক। নারী পাথর শ্রমিকরা বলছেন, তীব্র শীতের কারণে তাদেরও কাজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। ঘর সংসার সামলিয়ে তাদেরকে জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় জেলায় ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। যা সারাদেশের সর্বনিম্ন।এ তাপমাত্রায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গতকাল মঙ্গলবার রেকর্ড হয়েছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা । উত্তর-পূর্বকোণ থেকে ৩ নটিক্যাল গতিতে বয়ে যাওয়া হিমেল বাতাসের কারণে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে।