admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১২:৩৭ অপরাহ্ণ
ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, সরকার এটা ঘটায়নি ঠিকই কিন্তু এটা তাদের ব্যর্থতা। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন তারা সব সময় যেকোনো কিছু অর্ধেক কাজ শেষে আর করে না, রেখে দেয়।
বায়তুস সালাত জামে মসজিদ ঘুরে দেখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, সরকার যদি সতর্ক হতো, তাহলে মৃত্যুর সংখ্যা আরো কমতে পারতো। হয়তো বিস্ফোরণে ২৪ জনের জায়গায় অর্ধেক লোক কম মারা যেত। সরকার এটা ঘটায়নি ঠিকই। কিন্তু এটা তাদের ব্যর্থতা।
আহতরা তাৎক্ষণিক চিকিৎসা পায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এতগুলো কাঁচ ভেঙে গেছে, মানুষ পুড়ে গেছে। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণের ঘটনায় সবচেয়ে বড় দুঃখের বিষয় হলো, এখানে তাৎক্ষণিক যে চিকিৎসাটা হওয়া উচিত ছিল সেটা হয়নি। এত বড় একটা জেলা শহর, বড় বড় হাসপাতাল, অথচ কোনো চিকিৎসা নেই। সঙ্গে সঙ্গে ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন দিয়ে দিলে আহতরা কষ্ট কম পেতো।
তিনি বলেন, দেখলাম ঢাকায়ও পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। এটা আমাদের দুর্ভোগ্য। অথচ এ ওষুধের দাম কিন্তু খুব বেশি না, একটা ইঞ্জেকশন মাত্র ৩৫ টাকা। সরকার চাইলে দাম আরো কমাতে পারে। তাছাড়া আহতদের এখান থেকে ঢাকায় নিয়ে যেতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে, এই কষ্টটা অকল্পনীয়। বিস্ফোরণের পর মসজিদের ভেতরের দৃশ্য এ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে একটি এবং বাকিগুলো তিত্যাস গ্যাস, সিআইডি এবং ডিপিডিসির পক্ষ থেকে।
গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদের ভেতরে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তখন এশার নামাজের জামাত মাত্র শেষ হয়েছে। এতে নামাজ পড়তে আসা অন্তত ৪০ জন মুসল্লি দগ্ধ হন। পরে গুরুতর আহত ৩৭ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২৬ জন। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরো ১১ জন।