মোক্তারুজ্জমান মোক্তার,পার্বতীপুর প্রতিনিধি: পার্বতীপুরে ঈদের কোরবানির পশুর চামড়া ক্রেতা ব্যবসায়ির তৎপর না থাকায় মাটিতে পুঁতে রাখার খবর পাওয়া গেছে। আজ ৮ জুন পার্বতীপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অনুসন্ধানে জানা গেছে, এবারে কোরবানির পশুর চামড়া ব্যবসায়ি তেমন না থাকায় পানির দামে বড় গরুর চামড়া ক্রয় করলেও ছোট গরু ও ছাগলের চামড়া মাটিতে পুঁতে রাখার তথ্য দিয়েছে একাধিক কোরবানি দেয়া মানুুষ।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মোঃ কাইয়ুম বলেন, আমরা কোরবানির ১ লক্ষ টাকার গরুর চামড়া ২ শ ৫০ টাকায় বিক্রি করার কথা জানান । এছাড়া উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের আবু সালেহ বলেন, আমরা চামড়াগুলো মসজিদ মাদ্রাসায় দিয়ে দেই ওরাই চামড়াগুলো নিয়ে যায়। তবে এবারে শুনছি চামড়ার দাম নেই।
উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের জাহানাবাদ মন্ডলপাড়া গ্রামের ইয়াকুব আলী, রফিকুল ইসলাম,বছিরবানিয়ার বাজারের দোকান মালিক শফিকুল ইসলাম, আমবাড়ি হাটের ব্যবসায়ী আঃ লতিফ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কোরবানি দেয়া মানুষ জানান, এবার কোরবানির চামড়া না নেওয়া মাটিতে পুঁতে ফেলছি।
এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চামড়া ব্যবসায়ী বলেন, এক সময় জমজমাট চামড়াপট্টি ছিল বুড়া হাটের ওহাব চেয়ারম্যানের। এখন সে ঘরগুলো ভূতরে পরিণত হয়ে গেছে। অনেক ব্যবসায়ী তাদের ব্যবসা গুটিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। চামড়ার ভালো বাজার না পাওয়া এবং সময় মতো বকেয়া টাকা না পাওয়া, এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যার কারণে চামড়া ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সে কারণে রপ্তানি বাজারের অভাব: দেশের চামড়া শিল্প রপ্তানি বাজারে পিছিয়ে পড়েছে। বহির বিশ্বের ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি অনেক কম।
চামড়ার দামের অস্থিরতা চামড়া ব্যবসায়ীদের জন্য বড় সমস্যা। অনেক সময় কাঁচা চামড়ার দামের সাথে লবণযুক্ত চামড়ার দাম গুলিয়ে ফেলেন, যা ব্যবসায়ীদের লাভ-লোকসানের হিসাব জটিল করে। তারা চাইছে নতুন উদ্যোগ ও সরকারী সহায়তা। নতুবা চামড়া ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। অথচ বিশ্বের চামড়া বাজারের চাহিদা অনেক বেশি। চীন, ইতালি, এবং ব্রাজিল – এই দেশগুলো চামড়া উৎপাদনে শীর্ষস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চামড়া প্রক্রিয়াকরণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে, যা চামড়ার মান উন্নত করতে পারে এবং উৎপাদন খরচ কমাতে পারার কথা উল্লেখ করেন । এ প্রসঙ্গে পার্বতীপুর উপজেলার প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী মকবুল হোসেন বলেন, আমার এ বিষয়ে তেমন কোন সঠিক তথ্য জানা না থাকার কথা জানান।