সৈয়দ হারুনুর রশীদ,নবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জে ভাইকে পিতা সাজিয়ে ০৩.৫৯ শতক জমি আত্মসাতের অপচেষ্টা আদালতে মামলা চলমান। আদালতে মামলার বাদী মৃত লুবিস হাসদার একমাত্র ছেলে বিনেস হাসদার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হরিরামপুর মৌজায় এসএ ১৩২ খতিয়ান, সিএস ৫৩ খতিয়ান, ৩১৬ নং দাগে ৩ একর ৫৯ শতক বসতভিটা,কবরস্থান,বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগানসহ আবাদি ও-ই ০৩ একর ৫৯ শতক জমি ভাইকে পিতা সাজিয়ে বানোয়াট ভিত্তিহীন সোলেনামা দেখিয়ে বর্ণিত জমি দীর্ঘ ২৫-২৬ বছর ধরে জবরদখল করে ভোগ করে আসছে ভূমিদস্যু গোলাম মর্তুজা ওরফে ফটিক।
দিনাজপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিলকৃত ও-ই মামলার কাগজপত্র ও সাক্ষ্য প্রমাণে প্রতিয়মান হয় বিবাদী যে ভাইকে পিতা সাজিয়ে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সোলেনামা দেখিয়ে বাদিকে উচ্ছেদ করে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে জবরদখল এবং ভোগ করে আসছে কর্তৃপক্ষ গোলাম মর্তুজা ওরফে ফটিক। উল্লেখ্য আদালতের সর্বশেষ আদেশ বাদী বিনেস হালদার পক্ষে আদেশ হলেও বিবাদী ও-ই আদেশ কে অমান্য ও অগ্রাহ্য করে বাদীর বাড়ি ঘর,বসতভিটা, কবরস্থান,বিভিন্ন ফলের বাগান সহ উচ্ছেদ করে ভেকু মেশিন এবং ট্রাক যোগে মাটি পর্যন্ত খনন করে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে।এমনকি বাদীর বাবা লুবিস হাসদার লাশকেও গোপন করে অন্যত্র দাফন করে। অথচ ও-ই কবরস্থানে লুবিস হাসদার মা-বাবাসহ স্বজনদের কবর রয়েছে। অত্র মামলার প্রতিপক্ষ গোলাম মর্তুজা এ মামলায় একজন ভূমিদস্য জবর দখলকারী এবং মিথ্যা, বানোয়াট মামলা সৃষ্টি করে অসহায়,উপজাতি, সাওতাল সংখ্যালঘু মানুষকে অযথা হয়রানীকারী বলে এলাকায় পরিচিত হলেন।
বিনেস হাসদার আদালতে দায়ের কৃত মামলা নং ৩০/২২ নবাবগঞ্জ।সর্বশেষ বিনেস হাসদার আদালতে ৭৮ পি ২০২৫ মামলা চলমান।দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ৭ নং দাউদপুর ইউনিয়নের হরিরামপুর মৌজায় প্রায় ২৬ বছর পূর্বের বর্গা চাষী হিসেবে ভোগ করা ০৩ একর ৫৯ শতক জমি আদালতের মামলার রায় পাওয়ার পরেও এক নিরীহ আদিবাসীকে ও-ই জমির দখল ছেড়ে দিতে বিভিন্ন প্রকার তাল বাহানা করে আসছে ভুমিদস্যু গোলাম মর্তুজা ওরফে ফটিক।মৃত লুবিস হালদার একমাত্র ছেলে বিনেস হাসদা(৩৯) ন্যায় বিচারের আশায় আদালত সহ বিভিন্ন জনের কাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ গোলাম মর্তুজার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন কবে রায় হয়েছে তা আমার জানা নেই।সর্বশেষ বিনেস হাসদা ১৪৪ ধারামতে বিচার প্রার্থনা করে আদালতে ৭৮ পি ২০২৫ মামলা দায়ের করে।