admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১:১৫ অপরাহ্ণ
জাপানে এখন অনেক বেশি শিশু স্কুলে যেতে চাইছে না, যাকে সেদেশের ভাষায় বর্ণনা করা হচ্ছে ফুটোকো বলে। দশ বছর বয়সী ইয়ুতু ইতো গত বসন্তে অ্যানুয়াল গোল্ডেন উইকের ছুটির পর তার বাবা-মাকে জানায়, তার আর স্কুলে যেতে ভালো লাগছে না, সে আর স্কুলে যেতে চায় না। গত কয়েকমাস ধরে সে খুবই অনাগ্রহের সঙ্গে তার প্রাথমিক স্কুল গিয়েছে কখনো কখনো একেবারেই যেতে চায়নি। ক্লাসের শিক্ষার্থীদের কাছে টিটকারির শিকার হয়েছে, কখনো কখনো ক্লাসমেটদের সঙ্গে মারামারিও করেছে। এরপরে তার পিতা-মাতার সামনে তিনটি বিকল্প থাকে।
ইয়ুতোকে স্কুল কাউন্সেলিং করানো, যাতে তার এই মনোভাবের পরিবর্তন হয়, বাড়িতে পড়াশোনা করানো অথবা তাকে কোন একটি মুক্ত স্কুলে পাঠানো। তারা শেষ বিকল্পটি বেছে নেন। এখন ইয়ুতোর যখন ইচ্ছে করে, তখন সে স্কুলে যায়- এবং সে বেশ আনন্দিত। ইয়ুতো হচ্ছে জাপানের অনেক ‘ফুটোকোর’ একজন, যাদের সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এরা হচ্ছে এমন শিশু যারা স্বাস্থ্য বা অর্থনৈতিক কারণে ৩০দিনের বেশি স্কুলে যেতে চায় না।
জাপানের প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই শব্দটি অনেক সময় অনুপস্থিত, গরহাজির, স্কুলের প্রতি ভয় অথবা স্কুলকে প্রত্যাখ্যান ইত্যাদি শব্দে বর্ণনা করা হয়। তবে গত কয়েক দশকে ফুটোকোর সম্পর্কে ধারণা বদলেছে। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্কুলে না যাওয়া- তখন একে বলা হতো টোকোইয়োশি- অর্থাৎ প্রতিরোধ করা। বিষয়টিকে মানসিক অসুস্থতা হিসাবে দেখা হতো। তবে ১৯৯৭ সালে এই পরিভাষা বদলে আরো খানিকটা নিরপেক্ষ শব্দ ফুটোকো ব্যবহার শুরু হয়, যার অর্থ অনুপস্থিত। গত ১৭ই অক্টোবর জাপানের সরকার ঘোষণা করে যে প্রাথমিক এবং জুনিয়র হাই স্কুলে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০১৮ সালে ১৬৪,৫২৮ শিশু অন্তত ৩০ দিন বা তার বেশি সময়ের জন্য অনুপস্থিত থেকেছে, যা ২০১৭ সালে ছিল ১৪৪,০৩১টি শিশু।
ফুটোকোর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ১৯৮০’র দশকে জাপানে ফ্রি স্কুল মুভমেন্ট শুরু হয়। এগুলো হচ্ছে বিকল্প স্কুল যেগুলো স্বাধীনতা ও ব্যক্তি চাহিদার ওপর গুরুত্ব দিয়ে পরিচালিত হয়। বাসার স্কুলের পাশাপাশি জাপানের বাধ্যতামূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে এসব স্কুল একটি গ্রহণযোগ্য বিকল্প ব্যবস্থা। তবে এসব স্কুলে শিশুদের স্বীকৃত কোন শিক্ষা সনদ দিতে পারে না।

তামাগাওয়া মুক্ত স্কুলে নিজের কুকুর সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে একজন শিক্ষার্থী
গত কয়েক বছরে নিয়মিত স্কুলের চেয়ে এসব স্বাধীন স্কুলে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। ১৯৯২ সালে যা ছিল মাত্র ৭৪২৪ শিশু শিক্ষার্থী, ২০১৭ সালে হয়েছে ২০,৩৪৬ । স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ার অনেক দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব থাকতে পারে। সেখানে এমন ঝুঁকি রয়েছে যে তরুণরা সমাজ ব্যবস্থা থেকে একেবারে ছিটকে বাইরে চলে যেতে পারে এবং নিজেকে তাদের কক্ষের ভেতর আবদ্ধ করে রাখতে পারে- যা জাপানের ভাষায় হিকিকোমোরি বলে পরিচিত।সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের কারণ হলো, শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা। ২০১৮ সালে স্কুল শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতাও গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল, ৩৩২টি আত্মহত্যা।
স্কুল শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০১৬ সালে জাপানের সরকার একটি বিশেষ আত্মহত্যা প্রতিরোধ আইন পাস করে, যেখানে স্কুলগুলোর জন্য বিশেষ কিছু সুপারিশ রাখা হয়। কিন্তু জাপানে কেন এতো শিক্ষার্থী স্কুল এড়াতে চায় ?

মুক্ত স্কুলগুলো শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী নিজস্ব নিয়মকানুন তৈরি করে নেয়
জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চালানো একটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, এর প্রধান কারণগুলো হচ্ছে পারিবারিক অবস্থা, বন্ধুদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়, সহপাঠীদের টিটকারি। তবে সাধারণভাবে বলা যায়, শিশুদের স্কুল ছাড়ার পেছনে সবসময়ে অন্য শিক্ষার্থীরাই দায়ী নয়, অনেক সময় শিক্ষকদের দায় রয়েছে। যেমন বারো বছর বয়সী তোমোয়ে মোরিহাশি বলছে, আমি অন্য লোকজনের সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি না। স্কুলজীবন আমার কাছে কষ্টকর লাগে।
তোমেয়ের এমন একটি সমস্যা রয়েছে, যার ফলে অনেক সময় প্রকাশ্যে ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। আমি বাসার বাইরে বা পরিবারের বাইরে ভালো ভাবে কথা বলতে পারি না, সে বলছে। আর তাই তার কাছে মনে হয়েছে, জাপানের স্কুলে যেসব নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়, তা পালন করা তার পক্ষে কঠিন। চাপা প্যান্টস রঙিন হতে পারবে না, চুলের রঙ করা যাবে না, চুলের ইলাস্টিকের রঙ ও নির্দিষ্ট করা এবং সেগুলো কখনো হাতে পড়া যাবে না।
জাপানের অনেক স্কুলে শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাদের বাদামী চুলকে কালো করতে বাধ্য করা হয়, চাপা প্যান্টস বা কোট পড়তে দেয়া হয় না, এমনকি শীতের সময়েও। এমনকি অনেক সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করে দেয় যে, শিক্ষার্থীদের আন্ডারওয়্যারের রঙ কী হবে। সহিংসতা এবং কটু বাক্য ব্যবহার বন্ধ করতে সত্তর এবং আশির দশকে জাপানের স্কুলগুলোয় কঠোর নিয়মকানুন চালু করা হয়। নব্বইয়ের দশকে তা একটু শিথিল হলেও সম্প্রতি আবার কঠোর হয়ে উঠেছে। মুক্ত স্কুলে কী ধরণের কর্মকাণ্ড তারা করতে চায়, তা ঠিক করতে পারে শিক্ষার্থীরা এসব বিধিবিধান স্কুলের কালো আইন’ বলে পরিচিত। সাধারণত এই পরিভাষাটি সেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার করা হয়, যেসব কোম্পানি তাদের কর্মীদের ঠকায়। এখন তোমোয়ে এবং ইয়ুতার মতো শিক্ষার্থীরা টোকিওর তামাগাওয়া ফ্রি স্কুলে যাতায়াত করছে, যেখানে শিক্ষার্থীদের কোন নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম পড়ার বাধ্যবাধকতা নেই। সেখানে তারা তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ড নিজেরাই বাছাই করতে পারে, তবে সেটি আগেই স্কুল, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থী মিলে পরিকল্পনা করা হয়। তাদের নিজস্ব দক্ষতা এবং আগ্রহের দিকটি অনুসরণ করার জন্য তাদেরকে উৎসাহ দেয়া হয়। এসব স্কুলে জাপানি এবং অঙ্কের ক্লাসের জন্য কক্ষে কম্পিউটার আছে। লাইব্রেরি রয়েছে যেখানে রয়েছে অসংখ্য বই, যার মধ্যে কমিক বইও রয়েছে। এসব স্কুলের পরিবেশ খুবই অনানুষ্ঠানিক, অনেকটা বড় একটা পরিবারের মতো। শিক্ষার্থীরা কমন স্পেসে গল্প করা এবং একসঙ্গে খেলা করার জন্য মিলিত হয়। স্কুলের প্রধান তাকাশি ইয়োশিকাওয়া বলছেন, এই স্কুলের প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতার উন্নতি ঘটানো।
ব্যায়াম, খেলা বা পড়াশোনা যাই করা হোক না কেন, প্রধান বিষয় হলো, যখন অনেক মানুষ একসঙ্গে থাকবে, তখন ভীত না হওয়া। তামাগাওয়া মুক্ত স্কুলে প্রতিদিন গড়ে ১০জন শিক্ষার্থী আসে স্কুলটি সম্প্রতি আরো বড় পরিসরের একটি স্থানে গিয়েছে এবং প্রতিদিন অন্তত ১০টি শিশু স্কুলে আসছে। মি. ইয়োশিকাওয়া তার প্রথম ফ্রি স্কুলটি চালু করেন ২০১০ সালে, টোকিওর একটি আবাসিক এলাকার একটি তিনতলা বাড়িতে। আমি ধারণা করেছিলাম যে, শিক্ষার্থীরা হবে পনেরো বছরের বেশি বয়সী। কিন্তু যারা আসতে শুরু করলো, তাদের বয়স সাত বা আট বছর,তিনি বলছেন। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে প্রকাশ্যে আচরণ করার সমস্যা রয়েছে এবং স্কুলে তারা কিছুই করতে পারতো না। মি. ইয়োশিকাওয়া বিশ্বাস করেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলের প্রতি অনাগ্রহের প্রধান কারণ হচ্ছে এই যোগাযোগের সমস্যা। শিক্ষাখাতে তার পথচলা অবশ্য বেশ ব্যতিক্রমী। নিজের বয়স চল্লিশের শুরুর দিকে তিনি জাপানি কোম্পানির ভালো বেতনের চাকরি ছেড়ে দেন, কারণ তিনি আর চাকরির মধ্যে থাকতে চাইছিলেন না। তার পিতা ছিলেন একজন চিকিৎসক। পিতার মতো তিনিও সমাজের জন্য কিছু করতে চাইছিলেন। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি একজন সমাজকর্মী হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন। তার এই কাজের অভিজ্ঞতায় তিনি দেখেছেন যে শিশুরা কী ধরণের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি উপলব্ধি করতে শুরু করেন দরিদ্রতার কারণে কত শিশু কষ্ট পাচ্ছে অথবা সামাজিক নিপীড়নের শিকার হচ্ছে এবং কীভাবে তা তাদের স্কুলের পড়াশোনায় প্রভাব ফেলছে। স্কুলের প্রধান তাকাশি ইয়োশিকাওয়া বলছেন, এই স্কুলের প্রধান লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের সামাজিক দক্ষতার উন্নতি ঘটানো। নাগোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রিও উচিডা বলছেন, সমস্যা থাকা এই শিশুদের সংখ্যাও অনেক। একটি শ্রেণীকক্ষে যেখানে প্রায় ৪০টি শিশুকে মিলে একটা বছর অতিক্রান্ত করতে হয়, সেখানে অনেক কিছুই ঘটতে পারে,তিনি বলছেন। অধ্যাপক উচিডা বলছেন, জাপানের জীবনে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ জাপানে জনঘনত্ব খুব বেশি, ফলে আপনি যদি সমাজের অন্যদের সহযোগিতা এবং তাদের সঙ্গে মিলেমিশে না থাকেন, তাহলে টিকে থাকা যাবে না।
এটা শুধুমাত্র স্কুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, বরং গণ পরিবহন এবং অন্যান্য সব জনস্থানেই মানুষের ভিড় অনেক বেশি। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীর জন্য এই কাজটি করাই একটি কঠিন ব্যাপার। তারা অতিরিক্ত ভিড়ের শ্রেণীকক্ষে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না, যেখানে একটি ছোট জায়গার মধ্যে তার সহপাঠীর সঙ্গে সবকিছু করতে হয়। এ ধরণের পরিস্থিতিতে অস্বস্তি বোধ করাটা খুবই স্বাভাবিক,” বলছেন অধ্যাপক উচিডা। আর এরকম ক্ষেত্রে বছরের পর বছর সেই শ্রেণীকক্ষে যাওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য আরো কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফলে এসব মুক্ত স্কুল যে বিকল্প নিয়ে এগিয়ে এসেছে, তারা যে সহায়তা করছে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অধ্যাপক উচিডা বলছেন। এসব স্বাধীন স্কুলে তারা দলবেঁধে কিছু করার ক্ষেত্রে কত গুরুত্ব দেয়। বরং প্রতিটি শিক্ষার্থীর নিজস্ব চিন্তা এবং অনুভূতির বিষয়টিকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করে। যদিও এসব মুক্ত স্কুল বিকল্প একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে, কিন্তু জাপানের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে নিহিত সমস্যাটি থেকেই যাচ্ছে।
অধ্যাপক উচিডার মতে, শিক্ষার্থীদের নানা দিক উন্মোচনের ব্যাপারটি না থাকার মানে হচ্ছে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করার মতো একটা ব্যাপার- যার সঙ্গে অনেকেই একমত।
জাপানের স্কুলের পরিবেশ এবং স্কুলের কালাকানুন এর দেশজুড়ে সমালোচনা বাড়ছে।
সম্প্রতি টোকিও শিমবান সংবাদপত্রে একটি লেখায় একে মানবাধিকারের লঙ্ঘন এবং শিক্ষার্থীদের বৈচিত্র্য উন্মোচনের একটি বাধা বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
মুক্ত স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়
গত অগাস্ট মাসে ‘ব্লাক কোসোকু ও নাকুসো! প্রজেক্ট’ (স্কুলের কালাকানুন থেকে মুক্ত হোন) নামে একটি ক্যাম্পেইন গ্রুপ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে একটি অনলাইন পিটিশন দাখিল করেছে, যেখানে ৬০ হাজারের বেশি মানুষ স্বাক্ষর করে আবেদন করেছে যেন স্কুলের অন্যান্য বিধিবিধানের ব্যাপারে তদন্ত করা হয়। এরপর সবগুলো উচ্চ বিদ্যালয়কে তাদের নিয়মকানুন যাচাই করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যেখানে প্রায় ৪০ শতাংশ স্কুল পরিবর্তন করতে শুরু করেছে। অধ্যাপক উচিডা বলছেন, ‘অনুপস্থিত’ থাকার ব্যাপারটিকে এখন আর শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি অনিয়ম হিসাবে দেখছে না বরং একটি প্রবণতা হিসাবে দেখছে।
এটাকে তিনি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসাবে মনে করেন যে, ফুটোকো শিক্ষার্থীদের আর একটি সমস্যা হিসাবে দেখা হচ্ছে না। বরং তারা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে যেটি তাদের আন্তরিক পরিবেশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
জাপানে প্রায় পাঁচ লাখ তরুণ সমাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করা হয় এবং নিজেদের কক্ষ থেকে বের হতে রাজি হয়না। তাদের বলা হয় হিকিকোমোরি। তাদের পরিবার অনেক সময় বুঝতে পারে না যে, তাদের কী করা উচিত। তবে এখন একটি বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে এসেছে একটি প্রকল্প নিয়ে। তারা এই তরুণদের বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার চেষ্টা থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছে।