admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৯:১৪ অপরাহ্ণ
টেকনাফ বন্দরে কম্পিউটার অপারেটর এখন ৪৬০ কোটি টাকার মালিক! বন্দরে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন নুরুল ইসলাম (৪১)। দালালির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর অবেশষে ধরা পড়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এ সময় নুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকার জাল নোট, ৩ লাখ ৮০ হাজার মিয়ানমারের মুদ্রা, ৪ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা এবং নগদ ২ লাখ ১ হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার এসব তথ্য জানান র্যাবের মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। কাওরানবাজারে সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনে কম্পিউটার অপারেটর পদে চুক্তিভিত্তিক চাকরি নেন নুরুল ইসলাম। এরপর বন্দরকেন্দ্রিক চোরাকারবারি, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস, দালালির একটি চক্র গড়ে তোলেন তিনি। ২০০৯ সালে নিজের আস্থাভাজন একজনকে এই পদে চাকরি দিয়ে সিন্ডিকেটটি পরিচালনা করে আসছিলেন নুরুল ইসলাম।
১০-১৫ জনের এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া নুরুলের সম্পদের বিবরণ দিয়েছে র্যাব। ঢাকায় ৬টি বাড়ি, ১৩টি প্লট; সাভার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে ৩৭টি জায়গা/প্লট/বাগানবাড়ি/বাড়ি রয়েছে তার। এসব অবৈধ সম্পদের বাজার মূল্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা।
এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে আরো কোটি কোটি টাকা, জাহাজ শিল্প ও বিনোদন পার্কে বড় অংকের বিনিয়োগ করেছে নুরুল ইসলাম। সব মিলিয়ে হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। বিপুল এই অবৈধ অর্থ বৈধ করতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- এমএস আল নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এমএস মিফতাউল এন্টারপ্রাইজ, এমএস আলকা এন্টারপ্রাইজ, আলকা রিয়েল স্টেট লিমিটেড ও এমএস কানিজ এন্টারপ্রাইজ।