admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২২ আগস্ট, ২০২১ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও! সাত দিন ধরে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যায়নি তালিকায় থাকা প্রায় ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ১০০ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার। এই ঘটনা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। উধাও হয়ে যাওয়া এসব অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সন্ধানে এখন ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
হাসপাতাল সূত্র জানায়, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের মাস্টারদের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা হয়। এ পর্যন্ত কোন ওয়ার্ডে কতগুলো অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা নেয়া হয়েছে, তার পূর্ণ তালিকাও রয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা চিকিৎসা সরঞ্জামের খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ১০০ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার কোনো হিসেব মিলছে না। গত সাত দিন ধরে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজাখুঁজি করেও এসব সিলিন্ডার ও ক্যানোলার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
পরে নন কোভিড ওয়ার্ডেও সন্ধান চালানো হয়। কিন্তু সেখানেও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলামকে জানানো হলে তিনি ঘটনার তদন্তে ডা. মাহামুদ হাসানকে প্রধান করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার, দুজন ওয়ার্ড মাস্টার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক।
তদন্ত কমিটির সদস্য সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার বলেন, হাসপাতালে কোভিড-নন কোভিড প্রতি ওয়ার্ডে সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার সন্ধান চালানো হচ্ছে। কিন্তু শনিবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত সেগুলোর খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে একজনকে শোকজ করা হয়েছে। রোববার শেষবারের মতো বিভিন্ন ওয়ার্ডে সন্ধান চালানো হবে। এরপর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ওয়ার্ডে ছোটবড় মিলিয়ে ৬১৬টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল এবং ১১৩টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ছিল। বিভিন্ন সময় হাসপাতাল নিজস্ব অর্থায়নে কিছু সংখ্যক অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সংগ্রহ করেছিল। আর বাকিগুলো দিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।