admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট, ২০২১ ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
বরিশালে নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনা ছাত্রলীগ-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৩৫। বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ব্যানার সরানোকে কেন্দ্র করে নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে দুই দফায় জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালায়। এতে প্রাথমিকভাবে পুলিশ, আনসার সদস্যসহ বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। ছাত্রলীগ দাবি করছে, এ ঘটনায় বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ব্যানার সরাতে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন রাতে ব্যানার সরাতে নিষেধ করেন। এর পরও তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে হট্টগোল বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেইসঙ্গে দফায় দফায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার আনসার সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন।
সংঘর্ষে দুই পুলিশ, এক আনসার সদস্যসহ ৩৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ সেরনিয়াবাত অভিযোগ করে বলেন, ইউএনওর নির্দেশে আনসার সদস্যরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় ময়লাপরিবহনের গাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দেয়া হয়
ইউএনও মুনিবুর রহমান অভিযোগ করেন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার ও পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসে। তাদের সকালে আসতে বলা হলে তারা আমাকে গালিগালাজ করে এবং আমার বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। বরিশালের কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের পর ইউএনওর নিরাপত্তায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক বলেন, ইউএনওর অফিস ও বাসভবন সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সেখানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা আইনত অপরাধ। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যা করণীয় সেটাই করা হয়েছে। এ ঘটনার পর করপোরেশনের কর্মচারীরা থানা কাউন্সিলের সামনের বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ওপর ময়লা ও ময়লাবহনকারী গাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বরিশালের কোতোয়ালি থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, হামলা ও সংঘর্ষের পর ইউএনওর নিরাপত্তায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এনামুল হক বলেন, ইউএনওর অফিস ও বাসভবন সংরক্ষিত এলাকা হওয়া সেখানে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করা আইনত অপরাধ। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যা করণীয় সেটাই করা হয়েছে। এ ঘটনার পর করপোরেশনের কর্মচারীরা থানা কাউন্সিলের সামনের বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ওপর ময়লা ও ময়লাবহনকারী গাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।