admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর, ২০২০ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ
অনন্ত জলিলের ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অভিনেতা অনন্ত জলিলের ফেসবুক পাতায় আপলোড করা একটি ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছে।অনেক তারকারাও অনন্ত জলিলের এই ভিডিও নিয়ে কথা বলেছেন। ভিডিওটির শুরুতে মি. জলিল ধর্ষকদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কথা বলেছেন, তবে তার ভিডিওর পরবর্তী অংশে তার বেশ কিছু কথার মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদেরই দোষারোপ বা ‘ভিকটিম ব্লেমিং’ করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।
শনিবার রাতে অনন্ত জলিলের ফেসবুক পাতায় ভিডিওটি আপলোড করা হয়। রোববার সারাদিনই এই ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে বেশ আলোচনা-সমালোচনা দেখা গেছে। বাংলাদেশের বিনোদন জগতের ব্যক্তিত্ব মেহের আফরোজ শাওন তার ফেসবুকে লিখেছেন, “আমি মেহের আফরোজ শাওন, বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র ও মিডিয়াকর্মী এবং স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সচেতন নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশের নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অসংলগ্ন বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও বার্তা দেয়ার জন্য জনাব অনন্ত জলিলকে বয়কট করলাম।
ভিডিওতে কী বলেছেন অনন্ত জলিল যদিও অনন্ত জলিলের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় ভিডিওটি একবার মুছে দেয়া হয়।
এরপর বির্তকিত অংশের ভিডিও মুছে ফেলে আবার ছোট করে ভিডিও আপলোড দেয়া হয়। তবে প্রতিবেদনটি লেখার সময় তার স্ত্রী বর্ষার ফেসবুক পাতায় ছিল সম্পূর্ণ ভিডিওটি। আমি আজ কিছু কঠিন কথা বলবো, এটা বলে তার এই ভিডিও শুরু করেন মিঃ অনন্ত জলিল। তিনি মূলত যারা ধর্ষণ করে তাদের বিরোধিতা করে ভিডিও বার্তাটি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।
ভিডিওর এক পর্যায়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে সমস্ত মেয়েদের উদ্দেশ্যে কিছু বলি। ভাই হিসেবে, সিনেমা, টেলিভিশন সোশাল মিডিয়াতে অন্য দেশের অশ্লীল ড্রেস আপ দেখে ফলো করার চেষ্টা করো। এবং ফলো করে সেইম ড্রেস আপ পরে ঘোরাঘুরি করো। এরপর তিনি বলেন, এই চেহারার দিকে মানুষ না তাকিয়ে তোমাদের ফিগারের দিকে তাকায় ফিগারের দিকে তাকিয়ে বখাটে ছেলেরা বিভিন্নভাবে মন্তব্য করে এবং রেপ করার চিন্তা তাদের মাথায় আসে তোমরা কি নিজেদের মডার্ন মনে করো? এটা কি মডার্ন ড্রেস নাকি অশালীন ড্রেস।
তিনি মেয়েদের শালীন পোশাক পরার কথায় জোর দেন। তিনি বলেন, নিজেকে একটা ভদ্র মেয়ের পাশে দাঁড় করিয়ে দেখো কত বাজে লাগে। ছেলেদের মতো একটা টি-শার্ট পরে রাস্তায় বের হয়ে যাও। খুব মডার্ন তুমি। নিজেকে অনেক মডার্ন মনে করো। তারপর ইজ্জত হারিয়ে বাসায় যাও। হয় আত্মহত্যা করো, নয়তো কাউকে আর মুখ দেখাতে পারো না। শালীন ড্রেস পরলে যারা বখাটে, যারা ধর্ষণের চিন্তা-ভাবনা করে তারাও তোমার দিকে তাকাবে না। সম্মান করবে। মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যাবে, বলেন তিনি। ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের আইন চালু করতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন অনন্ত জলিল। এবিষয়ে টেলিফোনে মি. জলিলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।