admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর, ২০২০ ২:০৯ অপরাহ্ণ
মোঃহারুন-অর-রশিদ বাবু, ষ্টাফ রিপোর্টার রংপুর ব্যুরো অফিস রংপুর। সাম্প্রতিক সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের পর নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন। এভাবে একের পর এক ধর্ষণ ও নারীর প্রতি নিপীড়ন, নির্যাতন বেড়েই চলছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সূত্রতার কারণে নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ধর্ষণ নারী নির্যাতনের এই অপসংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে, সাড়া দেশের ন্যায় রংপুর মহানগরী এবং জেলার প্রত্যেকটি পাড়া মহল্লায় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁশির দাবীতে উত্তাল হয়ে হয়ে উঠেছে। গতকাল -০৬ ই অক্টোবর ২০২০ইং মঙ্গলবার, রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে সকাল ন’টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঝড়বৃষ্টি উপেক্ষা করে, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রংপুর, সেবক বন্ধু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রংপুুুর, গণজাগরণ মঞ্চ, জাগো রংপুর, জনতার রংপুর, ছাত্র অধিকার পরিষদ, রংপুরের সর্বস্তরের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্ধ,ধর্ষণ ও নিপিড়ন বিরোধী ছাত্র জনতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করেছেন।
নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণ বিরোধী প্রতিবাদ সভায় জোড়ালো ভাবে বলেন জাতী,দলমত ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে, ধর্ষকের পরিচয় কেবলমাত্র ধর্ষক’ই,তাই দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠন করে, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে, বক্তারা আরও বলেন যে,দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী,প্রধান বিরোধী দলীয় নেত্রী নারী,স্পিকার নারী, যে,দেশ ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও সাত লক্ষ মা-বোনের ইজ্জ সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, সেই দেশে আমার মা, আমার বোন ও আমার কন্যার স্বাধীনতা আজও পায়নি কেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আপনার পিতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতেগড়া ছাত্রলীগ আজ তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি ভুলে গেছে। আপনার ছাত্রলীগ যুবলীগ আজ ধর্ষকের আখড়ায় পরিনত হয়েছে !!
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রংপুর এর এক নেত্রী বলেন হয় আমার নিরাপত্তা দিন, নাহয় আমাকে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র দিন,যাতে আমি নিজেই আমার নিরাপত্তা দিতে পারি।একই দাবীতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে বহ্নিশিখা ও গ্রীণ ভয়েসসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেখানেও বক্তারা সুস্পষ্টভাবে ধর্ষক ও নিপিড়নকারিদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁশির দাবী করেন। তারাও রাষ্ট্র প্রধানকে উদ্যেশ্য করে বলেন ধর্ষণের বিচারে কোন প্রকার তালবাহানা করলে আমরা সাধারণ ছাত্রজনতা সেটা মেনে নিব না।