admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর, ২০২২ ৫:২০ অপরাহ্ণ
এম.মাসুম আজাদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এক অন্ধকার জগতের আদ্যোপান্ত, দর্শনা শহর ও গ্রামে হাটে বাজারে এমন কি চায়ের দোকানেও পাওয়া যায় ফেন্সিডিল। অনেকটা প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে দিনের পর দিন দেদার্সে চালিয়ে যাচ্ছে মরণ নেশা ফেন্সিডিল এর একচেটিয়া ব্যাবসা,অথচ প্রশাসন অনেকটা অলস সময়ই পার করছেন।
দর্শনায় প্রায় তিন হাজার মানুষের মাদক কারবারের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাদকের স্পট আকন্দবাড়ীয়া, তমালতলা যেখানে প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল এর ব্যাবসা করছেন রহমতউল্লাহ ও তার স্ত্রী, কালুর বৌ ভাবী,তরিকুল,শরিফুল। দর্শনা হল্ট স্টেশন এলাকায় যুব লীগ নেতা ওহিদুল,বিল্লাল, মিলন,মানিক, সোহেল সহ আরো অনেকেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় আকন্দ বাড়ীয়ার রহমতুল্লাহ ও তার স্ত্রী অত্র এলাকার সব থেকে বড় মাদক ব্যবসায়ী। তার বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড়ে পড়ে আছে কয়েক শত ফেন্সিডিল এর খালি বোতল। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মাদক সেবীরা ছুটে আসে এই আকন্দবাড়ীয়া রহমতুল্লাহর বাড়ি মাদক সেবন করতে।
এছাড়াও দর্শনা নাস্তিপুর নামক স্থানে অনেকটা প্রকাশ্যে ও দাপটের সাথেই মাদকের সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন বিজিবির সোর্স পরিচয় দাতা স্বপন ও তার স্ত্রী,খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই স্বপন নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে প্রায়ই বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেন,অথচ এই স্বপন ও তার স্ত্রী সক্রিয় মাদকের সিন্ডিকেট চালিয়ে যাচ্ছেন, স্বপনের স্ত্রীকে দেখা যায় তার নিজের কোলের সন্তানকেও ফেন্সিডিল খাওয়াচ্ছেন।
স্থানীয় জনগণের জোরদাবি চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে, কঠোর হাতে দমন করা হোক এই দর্শনার মাদক ব্যাবসায়ীদের। অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক,আকন্দ বাড়িয়ার রহমতুল্লাহ ও তার স্ত্রীকে এবং ওহিদুল,তরিকুল, শরিফুল, মিলন, মানিক ও সুইপার পট্টির ইউসুফকে। আর নাস্তিপুরের গডফাদার কবির, স্বপন ও তার স্ত্রী সহ রানা, হাকিম এরা সবাই মাদক ব্যাবসায়ী। অনতিবিলম্বে এদেরকেও গ্রেফতার করা হোক।