admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ, ২০২২ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
রফিকুল ইসলাম জিলু,স্টাফ রিপোর্টারঃঢাকার সাভার পৌরসভার রাজাসন এলাকা থেকে আলোচিত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ হুজিবি প্রধান মুফতি হান্নানের ভাই আনসার আল ইসলামের অন্যতম সংগঠক মুন্সি ইকবাল আহমেদকে (৬২) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
এ সময় তার কাছ থেকে উগ্রবাদী কার্যক্রমে ব্যবহৃত মোবাইল, উগ্রবাদী বই এবং লিফলেট উদ্ধার করা হয়েছে। । তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাস ও নাশকতার ৪ টি মামলা রয়েছে।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুরে আনসার আল ইসলাম’ এর সংগঠক মুন্সি ইকবাল আহমেদ’কে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-২, র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান।
গ্রেফতার মুন্সি ইকবাল আহমেদ (৬২) গোপালগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর অন্যতম সংগঠক।মুন্সি ইকবাল আহমেদ গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। তিনি আলোচিত জঙ্গি সংগঠন হুজি বি এর প্রধান।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ১১ মার্চ রাতে সাভার পৌরসভার রাজাসন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় উগ্রবাদী কার্যক্রমে ব্যবহৃত মোবাইল, উগ্রবাদী বই এবং লিফলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইকবাল আহমেদ স্বীকার করেছে, সে একসময় হরকাতুল জিহাদের নেতা ছিল।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হযরত শাহজালাল মাজারে সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার ঘটনার পর জঙ্গি সংগঠনটির ওপর গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির কারণে তারা আনসার আল ইসলামের সঙ্গে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সে আনসার আল ইসলামের অন্যতম সংগঠক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সংগঠনের অন্যান্য পাঁচ থেকে ছয় জন সদস্যের সঙ্গে ১১ মার্চ রাতেও সংগঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছে বলেও জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে। সংগঠক হিসেবে অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপন করে আসছিল সে।’
তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদ এর নেতা ছিলেন।মুফতি হান্নান ২০০৪ সালের তৎকালীন ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামী যার পরবর্তীতে ফাসি কার্যকর হয়। তার আরো দুই ভাই মৃত্যুদন্ড আদেশপ্রাপ্ত। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি বেশ কয়েকবছর যাবৎ নিষিদ্ধ ঘোষিত ‘‘আনসার আল ইসলাম’’ এর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য দেশে এবং দেশের বাহিরে আফগানিস্থানে পলাতক থেকে প্রশিক্ষণসহ নতুন নতুন কৌশল রপ্ত করেছে।
এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত মুন্সি ইকবাল আহমেদসহ চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।অন্যান্য সহোচরদের গ্রেফতারে র্যাব এর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।