admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২ জুন, ২০২১ ১:২৫ অপরাহ্ণ
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা, গ্রাহক প্রতারণা কারণে। সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট (পরোয়ানা) ইস্যু করেছেন আদালত। বীমার টাকা পরিশোধ না করায় গ্রাহকদের দায়ের করা মামলায় এই ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের মো. শামসুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান, মনিরুজ্জামান ডাবলু ও হাকিম জোয়ার্দ্দারের ছেলে বশির আহমেদ বাদী হয়ে কুষ্টিয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সানলাইফ ইস্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. নূরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসলাম রেজা, অডিট অফিসার মো. সাইদুর রহমান খান এবং কোম্পানি সচিব মো. রবিউল ইসলামসহ আরো ২ জন। তাদের বিরুদ্ধে বীমা সংক্রান্ত পৃথক ৯টি মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তারা সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ১০ বছর মেয়াদী বীমা করেছিলেন। কিন্তু মেয়াদপূর্তির পরও তাদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। কারো কারো মেয়াদপূর্তির ৫-৭ বছর পার হয়েছে। কিন্তু আজও টাকা দেওয়া হয়নি। অথচ মেয়াদ শেষে একবারে ডাবল (দ্বিগুণ) টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু টাকা তো দেওয়া হচ্ছেই না, উল্টো তাদের হয়রানি এমনকি হুমকি-ধমকিও দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মতিন খন্দকার জানান, কুষ্টিয়ার আদালত গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন অধ্যাপক রুবিনা হামিদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট (পরোয়ানা) জারি করেন। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত তার কাছে এ সংক্রান্ত মোট ১১টি মামলা আছে। মোট ৪৯৭ জন গ্রাহকের মোট অর্থের পরিমাণ ৯০ লাখ ৬২ হাজার ৯২৬ টাকা। এর মধ্যে ৯টি মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। লকডাউনের জন্য দুটি মামলা স্থগিত আছে। ৬টি মামলার ওয়ারেন্ট ইতোমধ্যে চলে গেছে। আইনজীবী আব্দুল মতিন খন্দকার বলেন, যাদের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়েছে তাদের অফিস ঢাকার বনানীতে অবস্থিত। কুষ্টিয়ার আদালত থেকে বনানী থানায় ওয়ারেন্ট চলে গেছে, কিন্তু তা মান্য করা হয়নি।