admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ
রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে জাতীয় সরকার নিয়ে আ.লীগ-বিএনপিকে সতর্কবার্তা ডা. জাফরুল্লাহ। নির্বাচনকালীন সংকট এড়াতে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সম্প্রতি। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে সম্ভাব্য এই সরকার নিয়ে কথা হচ্ছে অন্দরমহলসহ বিভিন্ন জায়গায়। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঐক্যমত না হলে ভয়ানক পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বিএনপির-আওয়ামী লীগ- দলীয় পতাকা ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের দুই বছর আগে জাতীয় সরকার গঠিত হবে। এই সরকারে আওয়ামী লীগ থেকে ২ জন, বিএনপির ২ জন, অন্যদের একজন করে, বুদ্ধিজীবী ও আইনজীবী থাকলো। এই ফর্মুলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি একমত হবে কিনা, বলা যাচ্ছে না। তবে একমত না হলে ভয়ানক অমঙ্গল হবে দেশের জন্য। এ নিয়ে দল দুটির সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। একার চেষ্টায় বেশি লাভ হবে না, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তবে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন সরকার গঠন করা হবে কিনা, তা অবস্থার প্রেক্ষিতে ঠিক করার কথা জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জেএসডির আ স ম আবদুর রব, গণসংহতির জোনায়েদ সাকি, ভাসানী পরিষদ, সাইফুল হকরা আছেন বলে জানান তিনি। জাতীয় সরকারের প্রধান কে হবেন, তা জানেন না উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এটি ঠিক করবে দেশের জনগণ। যে কেউ হতে পারে এই সরকারের প্রধান। সংবিধানে এমন সুযোগ না থাকলেও সেটি বদলানো যায়। এর ফলে ইফেক্টিভ হবে, তারা কোনো দলের নয়, জাতির স্বার্থ দেখবে। গত সোমবার দেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসন করতে জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় সমাজাতিন্ত্রক দল, জেএসডি।
দলটির সভাপতি আ স ম আবদুর রব এ প্রস্তাব দেন। এ সময় জেএসডির পক্ষ থেকে জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে দেশ পরিচালনার নীতি তৈরি, সাংবিধানিক ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিস্থাপন এবং আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সরকারের গঠন, রূপরেখা ও মেয়াদকাল নির্ধারিত হবে।