admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ১১:২৬ অপরাহ্ণ
রংপুর থেকে ফিরে সাজাদুর রহমান সাজুঃ ময়মনসিংহ ও খুলনার মতো রংপুরেও গণসমাবেশ মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ফাঁকা চেয়ার রাখা হয়েছে। সভামঞ্চের ঠিক মাঝখানে রাখা সাদা কাপড়ে আবৃত চেয়ারে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’ লেখা একটি পোস্টার লাগানো রয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে শুরু হওয়া বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ মঞ্চের ঠিক মাঝখানে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ওই চেয়ারটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। ওই চেয়ারের দুই পাশে সমাবেশের প্রধান অতিথি, প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথিসহ দলের শীর্ষ নেতাদেরও চেয়ার রয়েছে।
এ দিন দুপুর ২টায় বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শেষে দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশ শুরু হয়। এখন দলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দিচ্ছেন। তবে সমাবেশস্থলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত হননি।
রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের প্রেরণার উৎস। তিনি সভামঞ্চে উপস্থিত না থাকলেও আমাদের সবার অন্তরে আছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সম্মানে চেয়ারটি খালি রাখা হয়েছে। আজ লাখ লাখ নেতাকর্মী তার নিঃশর্ত মুক্তিসহ জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এই মাঠে এসেছেন।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ ও ২২ অক্টোবর খুলনায় অনুষ্ঠিত বিভাগীয় গণসমাবেশেও মঞ্চের মাঝখানে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য খালি চেয়ার রাখা হয়েছিল। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর আজ রংপুর বিভাগীয় শহরে দলটির চতুর্থ গণসমাবেশ হচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু।
সভামঞ্চে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশিদ,এম,পি রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব (দুলু),গ্রাম সরকার বিষয়ক সস্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু,সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, বক্তব্য রাখেন নিবাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন আজাদ,অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ ময়নুল হাসান সাদিক,রংপুর জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
দিনাজপুর জেলার সভাপতি এ্যাড,মোফাজ্জল হোসেন দুলাল,কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি সাইফুর রহমান রানা,লালমনিহাট জেলার সাধারণ সস্পাদক হাফিজুর রহমান বাবলা,সৈয়দপুরের আহবায়ক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর, নীলফামারী জেলার আহবায়ক আলমগীর সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম (বাবুল),মহিলাদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ইডেল কলেজের সাবেক ভি,পি হেলেন জেরিন খান,শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন,জাসাসের সদস্য্ সচিব জাকির হোসেন রোকন, ওলামাদলের আহবায়ক মাওঃ শাহ মোঃ নেসারুল হক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনোকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েলসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত হয়েছেন।
সমাবেশ মঞ্চ ও মাঠের আশপাশসহ প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৩০টি মাইক টাঙানো হয়েছে। মাঠের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা আশপাশের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠ বিভিন্ন স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। তবে তীব্র রোদের কারণে অনেকে সড়কের পাশে ছায়ায় জড়ো হয়েছেন।
মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থক ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের বেশিরভাগই ভোর হওয়ার আগেই সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।