admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ, ২০২০ ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ
যৌন ব্যবসায় জড়িত ঢাকায় গ্রেফতার পাপিয়া-সুমন দম্পত্ত্বির উত্তরসুবি রংপুরের রুপা-হাবিবা স্বামী ও ভয়ফেন্ডসহ পুলিশের জালে পড়েছে।সোমবার গভীর রাতে একজন এনজিও ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে তারা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এ ঘটনায় কেচে খুড়তে সাপ বেড়িয়ে এসেছে পুলিশের তদন্তে।পাপিয়ার ব্যবসার আদলে রংপুরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও হোটেল মোটেলেও এ ধরনের বাণিজ্যের বিভিন্ন তথ্য এখন পুলিশের হাতে।পুলিশ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় নজরদারি বাড়িয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ জানান,রংপুরের তারাগঞ্জের ইকরচালীতে এনজিও আশার মাঠ কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রংপুর মহানগরীর পায়রা চত্বরের জুম্মাপাড়ার ওই বাড়িতে আনা হয় সোমবার রাত ৯ টায়।এরপর রুমে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।সেখানে আগে থেকেই একজন নারী উপস্থিত রাখা হয়।কিছুক্ষণ পরপরই তিনচারজন পুরুষ ওই ঘরে প্রবেশ করে।তারা শ্যামল চন্দ্রকে মেয়েটির সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করার অভিযোগে এনে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা নিতে আসলে পুলিশ নগরীর গুপ্তপাড়ার আবদুস সালামের পুত্র মেহেদী হাসান মোহন(২২)কে গ্রেফতার করে।পরে তাকে নিয়ে গভীর রাতে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই চক্রের নারী সদস্য নগরীর রাধাবল্লভ এলাকার হায়দার আলীর কন্যা হাবিবা আকতার(১৮),জুম্মাপাড়ার মোজাম্মেল হোসেন মিন্টু(২৯) ও তার স্ত্রী রুপা মোজাম্মেল (২৮)কে গ্রেফতার করা হয়।এসময় শ্যামলকে ভয়ভীতি দেখানো একটি চাকুও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে রংপুর মহানগরীতে হাবিবা, রুপা, মোহন ও মিন্টুর নেতৃত্বে ওই বাড়িতে এভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টার্গেটকৃত লোকদের ফাঁসিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে।তিনি জানান,এদের টার্গেট চাকরীজীবি,ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশাজীবি ব্যক্তি।টার্গেট করার পর তারা তাদের নিজস্ব সিন্ডিকেটের নারীদের দিয়ে প্রথমে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান,আমরা প্রাথমিক তদন্তে আরও জানতে পেরেছি অনেক ক্ষেত্রে ওই টার্গেটকৃত ব্যাক্তিকে বাসায় নিয়ে গিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে টাকা দাবী করে। অথবা পরিবারের কাছে ও ইন্টারনেটে অডিও ভিডিও ফাঁস করে দেয়ার ভয় দেখিয়েও তাদের কাছে টাকা হাতিয়ে নেয়।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, তদন্তে দেখা গেছে আটককৃতদের মধ্যে দম্পত্তিও আছেন।তারা অনেকটাই ঢাকায় গ্রেফতার পাপিয়া ও তার সুমনের স্টাইলেই চলাফেরা করতেন।আরেকজন নারী ও পুরুষ এই ব্যবসায় তাদের সহযোগি।ঢাকায় যৌন ব্যবসায়ী গ্রেফতারকৃত পাপিয়ার কাজের সাথে এদের কাজের অনেকটা মিলও রয়েছে।এছাড়াও তাদের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপুর্ন তথ্য পাওয়া গেছে। সে আলোকে নগরীতে গড়ে উঠা বিভিন্ন বাসা বাড়ির ওপর নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।এসব বাসাবাড়িতে যাদের যাতায়াত তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে।অসামাজিক ও অন্যায় কাজের সাথে জড়িত এই সিন্ডিকেটটিকে আইনের আওতায় আনতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।