মনোয়ার ইমাম,কলকাতা প্রতিনিধি: ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কলকাতা লাগোয়া ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অধীনে রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় একটি ফলের দোকান বসা কে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক গন্ডগোল ও ঝামেলা ছড়ায়।
এই ঘটনার পর ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার শ্রী রাহুল গোস্বামী আই পি এস ও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল মিথুন কুমার দে র নেতৃত্ব বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় গতকাল সকালে, যখন একজন গরীব ফল বিক্রেতা তার দোকান বসাতে গিয়ে। এই ফল বিক্রেতা দীর্ঘদিন ধরে ফল বিক্রি করে আসছিল। এবং তার ফলের দোকান টি তুলে দিয়ে ওখানে ঈদুল আযহা র ছুটির সময় একটি মন্দির মতো কিছু পেতে তার চারপাশে তুলসী গাছের চারা রোপণ করে দেয়।
এবং জায়গাটি দখল করে নেয়। যখন ফল বিক্রেতা এসে দেখেন যে তার দোকান কে সরিয়ে দিয়ে মন্দিরের গঠন করেছে। তখন তিনি তার সামনে বসতে যায়। তখন স্থানীয় বিজেপি ও আর এস এস এর লোকজন এসে তাকে জয় শ্রীরাম বলতে বলেন। তাতে প্রতিবাদ জানান ফল বিক্রেতা মুসলিম যুবক। এবং এই ঘটনার কথা জানাজানি হলে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি হয়। এবং শুরু হয় ঝামেলা ও গন্ডগোল। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে। চলে ইট পাথরের বৃষ্টি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার শ্রী রাহুল গোস্বামী আই পি এস ও ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রী মিথুন কুমার দে। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে সক্ষম হয়। এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক আর এস এস ও বিজেপি নেতা সহ মোট ছয়জন কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং তাদের কাছ থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে।ধৃত ব্যাক্তিদের জিগ্গেস বাদ চলেছে।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন যে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের রবীন্দ্রনগর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বের মধ্যে এমন একটি বেআইনি নির্মাণ কাজ শুরু হল কি ভাবে। এমন শুরু করার সময় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধা দেওয়া হল না কে, তার ব্যাখ্যা চাইছে আম আদমি। এই ঘটনার পর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছে। এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ।
তবে কি ২০২৬,শে পশ্চিম বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসার জন্য এমন নীল নকশা তৈরি করতে তৎপরতা শুরু করেছে আর এস এস ও তার দোসররা। এমন ঘটনা উড়িয়ে দেয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন সমাজসেবী ও বুদ্ধিজীবীরা। তবে ঘটনার পর এলাকা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এবং ১৬৩, ধারা জারি করা হয়েছে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে। সাথে চলেছে পুলিশের টহলদারি।