admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ণ
ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক জানিয়েছে সুগন্ধি সাবানেও দূষিত হয় বায়ু ! নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, শুধু বাইরের কালো ধোঁয়াই নয়, ঘরেও দূষিত হয় বায়ু। গোসলের সময় ব্যবহৃত সুগন্ধি সাবানটি থেকে বাষ্পীভূত হওয়া রাসায়নিকও বাতাসে ক্ষতিকর ওজোন তৈরি করে। শুধু সাবান নয়, আফটার শেভ, পারফিউম থেকে শুরু করে সুগন্ধি সব পণ্যই চারপাশের বায়ুকে দূষিত করে। ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্ক-এর পিএইচডি গবেষক আম্বার ইওমান এক গবেষণাপত্রে নতুন এই তথ্য দিয়েছেন। আম্বারের গবেষণায় উঠে এসেছে, ঘরোয়া কারণে বায়ুদূষণের জন্য মোমবাতি জ্বালানোকে ফোকাস করার প্রবণতা থাকলেও বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে বাড়িতে ব্যবহৃত নানা ধরনের পণ্যের দায়বদ্ধতাও রয়েছে।
জীবাশ্ম-জ্বালানি প্রাপ্ত রাসায়নিকগুলো যেমন ছাপার কালি, আঠা, কালি মোছার রিমুভারসহ অনেক পণ্যই বায়ুতে এত পরিমাণে ওজোন নির্গত করছে, যা ট্রাফিক থেকে নির্গত দূষণের চেয়েও বেশি। গবেষণার সময়, গোসলখানায় নমুনা পাইপ বসানো হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রত্যেককে একই সুপার মার্কেট পণ্য দিয়ে গোসল করতে বলা হয়েছিল। শাওয়ার জেল থেকে শুরু করে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, ময়েশ্চারাইজার এবং অ্যারোসল ডিওডোরেন্টও রাখা হয়েছিল সেখানে। একে একে উদ্বায়ী জৈব যৌগগুলো ইওমানের সরঞ্জাম দিয়ে পরিমাপ করা হয়। তাতে উচ্চ প্রতিক্রিয়াশীল লিমোনিন এসেছে মূলত সাইট্রাস গন্ধযুক্ত শ্যাম্পু থেকে, কন্ডিশনার থেকে বেনজিল অ্যালকোহল এবং ময়েশ্চারাইজার থেকে ইথানল।
গবেষণায় বলা হয়, নিশ্চিতভাবেই এই রাসায়নিকগুলো কাপড় ধোয়ার সময়ও পানি ও বাতাস দুই মাধ্যমেই ছড়ায়। শুধু তাই নয়, সাবান দিয়ে ধোয়া কাপড়গুলোকে শুকাতে দিলে সেখান থেকেও কিছু পরিমাণে রাসায়নিক ছড়াতে পারে। গবেষণা বলছে, বায়ুমানের লেভেলগুলো ঠিক রাখতে এবং গ্রাহকদের পণ্যগুলোর নেতিবাচক প্রভাব থেকে বাঁচাতে সচেষ্ট হওয়া উচিত প্রস্তুতকারকদের। কারণ, স্বাস্থ্যসচেতন ক্রেতারা অবশ্যই এই পণ্যগুলোকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে সুগন্ধির সম্পর্ক থাকা উচিত নয়।