admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর, ২০২০ ১:৫৩ অপরাহ্ণ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের মহানন্দা নদীতে তিন বাংলাদেশির লাশ ভেসে ওঠেছে। গত ১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার তারা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পরদিন ২ অক্টোবর, শুক্রবার থেকেই উপজেলার বজরাটেক আলীসাহাসপুর সীমান্তের মহানন্দা নদীতে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না জেলেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের সুখনগর সীমান্তে গরু আনতে যায় একদল চোরাকারবারি। এসময় বিএসএফের সুখনগর ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে কয়েকজন নদী সাঁতরে পালিয়ে আসেন।
তবে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরো ৩-৪ জন নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন থেকেই ওই এলাকার নদীতে জেলেদের মাছ ধরতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়।
গত ৪ অক্টোবর, রবিবার বিকালে নদীতে পাতা জালগুলো গুটিয়ে আনতে ১ ঘণ্টার জন্য জেলেদের সময় দেয় বিজিবি। এসময় মহানন্দা নদীর সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলারের (৪১ ও ৪২) কাছে দুটি স্থানে পানির মধ্যে দুটি লাশ একসঙ্গে বাঁধা এবং অপর লাশটি ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান জেলেরা। আতঙ্কিত জেলেরা তখন দ্রুত ফিরে আসেন।
স্থানীয় জেলেরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুটি গুলির শব্দ শুনতে পান। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে স্থানীয় জেলেদের নদীতে মাছ ধরতে দেয়নি পোলাডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। গত রবিবার এক ঘণ্টার মধ্যে জালগুলো তুলে আনার অনুমতি দেয়া হয়। তখনই লাশ তিনটি দেখতে পান তারা।
প্রত্যক্ষদর্শী জেলে আবদুল জলিল বলেন, জাল তুলে আনতে গিয়ে নদীর শেষ সীমানায় একটি লাশ ভাসতে দেখেছি। অপর প্রত্যক্ষদর্শী সাদিকুল ইসলাম বলেন, নদীর শেষ সীমানায় বেগুনের ক্ষেতের পাশে দুটি লাশ একত্রে বাঁধা অবস্থায় দেখেছি। এরপরই ভয়ে দ্রুত ওই এলাকা থেকে চলে আসি।
ঘটনাটি জানার পর থেকে মহানন্দা নদীতে লাশ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৫৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসান।
তিনি বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ ধরনের কোনো ঘটনা জানা নেই বলে জানিয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেণ উল্লেখ করে বিজিবি’র এই কর্মকর্তা বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে আমরা বজরাটেক আলীসাহাসপুর সীমান্তে মহানন্দা নদীতে মাছ ধরা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি।