admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১২:১০ অপরাহ্ণ
আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, এরপরও আমরা জেনে শুনে বিষ পান করছি।’ গতকাল শুক্রবার সকালে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য এরকম মন্তব্য করেন। তার কাছে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কিভাবে দেখছেন। জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর শুধু আমাদের নয়, এদেশের কোনো মানুষের আস্থা নাই। এরপরও আমরা জেনেশুনে বিষ পান করছি। আমরা নির্বাচনে গেলেও সমালোচনা হয়, আবার না গেলেও সমালোচনা হয়। তাই সবাই অপেক্ষা করেন নির্বাচন কমিশনের শেষ পদক্ষেপের জন্য। আর একটা সময় আসবে যখন এই নির্বাচন কমিশনের দিক থেকে আপনারা মুখ ফিরিয়ে নেবেন, তখন আমরাও মুখ ফিরিয়ে নেব এবং কোনো নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবো না।
বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মামুন আহমেদ , সাধারণ সম্পাদক হেলাল খানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ জাসাস নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। সিটি নির্বাচনের আবহাওয়া কেমন দেখছেন জানতে চাইলে গয়েশ্বর বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে কোনো আবহাওয়া তৈরি হয় নাই। তবে ফরম বিক্রি, জমা দেওয়ার জন্য আবহাওয়া তৈরি হতে পারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো আগ্রহ ফিরে আসে নাই।’ কারণ, যেহেতু জনগণ ভোট দিতে পারে না, সে কারণে কোনো নির্বাচনে তাদের আগ্রহ দেখা যায় না। জনগণের মধ্যে যদি কোনো আগ্রহ না থাকে তাহলে সেই নির্বাচন আর নির্বাচন হয় না। নির্বাচন নিয়ে কি আশা করছেন-এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা এই নির্বাচনে কি আশা করছি? আমরা নিকট অতীতে যা দেখেছি তার প্রতিচ্ছবি দেখব। যেখানে নির্বাচনে জনগরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দেবে সেটা আশা করা যাচ্ছে না। তাহলে কেনো আপনারা (বিএনপি) নির্বাচনে যাচ্ছে? জবাবে গয়েশ্বর বলেন, আপনাদের (গণমাধ্যম) মনোতুষ্টির জন্য নির্বাচনে যাচ্ছি।
আমরা না গেলে আপনারাই অনেক কথা বলবেন। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ভোট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও ভোটার ইভিএমের প্রতি কোনো আগ্রহ নাই। কারণ তথ্য প্রযুক্তির উপরে মানুষের ধারণা নাই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেদ করেছেন জনগনকে ইভিএম গিলাবেন। সুতরাং জনগণের বাইরে যখন নির্বাচন কমিশন কোনো কিছু জেদ করে চাপিয়ে দেয় তখন বুঝতে হবে এই ইভিএমেরে পেছনে অনেক রহস্য আছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন কি সুষ্ঠু হবে? জবাবে তিনি বলেন, এটাকে তো নির্বাচন কমিশনই বলা যায় না। এটা হলো সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়নের একটি প্রতিষ্ঠান। তাই এটাকে নির্বাচন কমিশন বলা হলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিদ্রুপ করা হবে। দেশের আইনের শাসন না থাকা, প্রশাসনসহ বিচার বিভাগের দলীয়করণের কঠোর সমালোচনা করেন গয়েশ্বর।