admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:৩১ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশ থেকে নেয়া ইলিশ শর্তে পশ্চিমবঙ্গে তুমুল টেনশন ! আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে ইলিশ শিকার, কেনা-বেচায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ। এমতাবস্থায় ভারতে যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির আশ্বাস দেয়া হয়েছিল ঢাকার পক্ষ থেকে তা আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যেই নিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের ইলিশ ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, নির্দিষ্ট এ সময়সীমার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ ইলিশ বাংলাদেশ থেকে নেয়া সম্ভব হবে না। ফলে বিশাল পরিমাণ ইলিশ রপ্তানির ঘোষণায় যেভাবে আহ্লাদে আটখানা হয়েছিল ওপার বাংলার লোকজন তাতে কিছুটা লাগাম পড়তে যাচ্ছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
গতবছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার দরুন ৩ অক্টোবরের মধ্যেই এ কার্যক্রম শেষ করতে হবে। ইলিশ আমদানি-রপ্তানির সাথে জড়িতরা বলছেন, কোনোভাবেই এত অল্প সময়ের মধ্যে এত ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা যাবে না। উল্লেখ্য, এবার মোট ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিকটন ইলিশ ভারতে রপ্তানির ঘোষণা দেয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, দুই দেশেরই ইলিশের বাজার ও পরিকাঠামোর যে অবস্থা, তাতে গড়ে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তার এই তথ্যই স্পষ্টত বলে দিচ্ছে, ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বোচ্চ কী পরিমাণ ইলিশ ওপার বাংলায় নেয়া সম্ভব।
ঢাকার ইলিশ ব্যবসায়ী মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলছেন, এ বার একেবারে ফার্স্টক্লাস ইলিশ ভারতে যাচ্ছে। কিন্তু এত অল্প সময়ে অত ইলিশ পাঠানো সম্ভব নয়! প্রধানত বরিশালের মনপুরা, হাকিমদ্দিন, তজিমুদ্দিন, পাথরঘাটা, মহীপুরের সেরা ইলিশ এবার পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রথমে ৫২টি সংস্থাকে ৪০ মেট্রিক টন করে ইলিশ রপ্তানির ছাড়পত্র দেয় ঢাকা। এর পরে আরো ৬৩টি সংস্থাকে এ সুযোগ দেয়া হয়।
এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আনোয়ার মাকসুদ বাংলাদেশ হাই কমিশনার মুহাম্মদ ইমরানের স্মরণাপন্ন হয়েছেন। তার দাবি, শর্ত ঠিক থাকুক, আপাতত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত যা ইলিশ ঢোকার ঢুকুক। কিন্তু ২২ অক্টোবরের পরে ঢাকার ঘোষণা অনুযায়ী ধাপে ধাপে বাকি ইলিশও ঢুকতে দেওয়া হোক। জানা গেছে, তার এ দাবি নিয়ে এখনই আশার কথা শোনা যাচ্ছে না। আলোচনার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে।