admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২১ আগস্ট, ২০২১ ১:১০ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশে যে দুই কারণে আটা-ময়দার বাজার টালমাটাল। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ব্যাহত হয়েছে গমের বৈশ্বিক উৎপাদন। তার ওপর গোটা বিশ্বকে কাঁপানো করোনা মহামারিতে থমকে গেছে পণ্যটির বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা। এর প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে, এতে দেশীয় বাজারও হয়ে পড়েছে অস্থিতিশীল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একসঙ্গে দুটি ধাক্কা আসায় কয়েক মাস ধরে গম ও গমজাত পণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আগামী মৌসুমেও একই পরিস্থিতির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
সব মিলিয়ে আটা-ময়দার দাম এক মাসের বেশি সময় ধরে বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে খাদ্য ও নিত্যপণ্যের বাজারেও। গত মে মাসে বিশ্ববাজারে গমের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। পরে দাম কিছুটা কমলেও এখনো স্থিতিশীল হয়নি বাজার। উল্টো এর প্রভাবে দেশের বাজারে গম ও গমজাত পণ্যের বাজার বেড়েই চলেছে। গত এক মাসে আটা ও ময়দার দাম প্রতি মণে বেড়েছে কয়েক শ টাকা।
দেশে সর্ববৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, এক মাসে গমের দাম মণপ্রতি গড়ে বেড়েছে ২০০ টাকা। এর মধ্যে কানাডীয় ভালো মানের গম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৭০ টাকা মণ। আর মণপ্রতি ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় গম। আরেক বড় পাইকারি বাজার নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে যা বিক্রি হয় যথাক্রমে ১ হাজার ৩৮০-৪০০ টাকা ও ৯০০-১ হাজার টাকা। এক মাসের ব্যবধানে এখানে মণপ্রতি কানাডীয় গমে ৩০০ টাকা, ভারতীয় গমে ৫০-১৫০ টাকা এবং ইউক্রেনের গমে ১৪০ টাকা বেড়েছে।
গমের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের আটা ও ময়দার বাজারেও। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আটায় মণপ্রতি বেড়েছে প্রায় ২০০-২৫০ টাকা, ময়দায় ২৫০-৩০০ টাকা। খাতুনগঞ্জে গতকাল আটার মণ ১ হাজার ৩৮০-৪২০ টাকা এবং ময়দা ১ হাজার ৮৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নিতাইগঞ্জে এক মাসের ব্যবধানে ভালো মানের আটার বস্তায় ১৫০ টাকা বেড়ে ১ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ময়দার বস্তায় প্রায় ৫০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
এ ছাড়া মোড়কজাত আটা-ময়দার ক্ষেত্রে গত এক সপ্তাহে কেজিতে বেড়েছে ৩-৪ টাকা করে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনাকালে দেশে গমের সরবরাহে সাময়িক সংকট তৈরি হওয়ায় বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। ফের আমদানি বাড়লে সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে দাম।