মোক্তারুজ্জামান মোক্তার || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৩ জুলাই, ২০২৫ ৭:০২ অপরাহ্ণ
দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকরা আজ ২৩ জুলাই সকাল ১১ টায় খনির মেইল ফটকে এক দফা এক দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। জানা গেছে, পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করে আসছে। সেই একই সুত্রে আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে খনির মেইল ফটকের সামনে।
উক্ত সম্মেলনে বক্তরা আওয়াজ তুলছে আদালতের আদেশের পরও স্থায়ীভাবে নিয়োগ দিচ্ছে না। তারা আরও বলছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ২৭৬ জন আউটসোর্সিং কর্মচারীদের এক দফা এক দাবি আগামী ১০ দিনের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণ করা না হলে আরও কঠোর আন্দোলন হুশিয়ারি দেন। খনির আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যান পরিষদের সভাপতি আশরাফুল আলম লিখিত বক্তব্যে বলেন, হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা না হলে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সব ধরনের কাজ বন্ধের ঘোষণার কথাও উল্লেখ করেন। আমাদের ২৭৬ জন শ্রমিকের চাকুরি স্থায়ীভাবে নিয়োগ চাই।
জমি অধিগ্রহনে আমাদের স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে স্থায়ী চাকুরি দেওয়ার কথা থাকলেও তা আজও দেয়নি। আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্য জার্নিল আকন্দ ও সামসুল আলম। উক্ত কল্যান পরিষদের সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) কয়লা খনিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০-২২ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছে। জমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে ২০০৯ সালে ১৫ মে বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। সমঝোতা স্মারকের ৮ ধারায় ক্ষতিগ্রস্তদের কয়লা খনিতে চাকরির ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা শিথিল করে চাকরি প্রদানের সুপারিশ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
এছাড়াও আউটসোর্সিংয়ে কর্মরতদের বয়স ও শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে ২০০৯ সালে ১৮ জানুয়ারি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম থেকেই এই কোম্পানিতে ক্ষতিগ্রস্তদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও আজও আউটসোর্সিং কর্মচারী হিসেবে রেখে সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেন। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়োগ কমিটিকে জানা হয়েছে এবং হাইকোটের বায় বাস্তবায়নের জন্য কাজ করার কথা জানান।