admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
নুরুজ্জামান সরকার রাসেল, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা কর্মী সম্বেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ নভেম্বর শুক্রবার সকালে নীলফামারী জেলা শহরের পৌরসভা মাঠে এ কর্মী সম্মেলন হয়। এখানে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ৫ আগস্ট যখন পরিবর্তন আসলো আপনাদের সাথে সাথে সারা দেশবাসীকে অনুরোধ করলাম আল্লাহতালার এই নিয়ামতের কদর করুন শান্ত থাকুন ধৈর্য ধরুন। কোন প্রতিশোধ নেবেন না যদি কিছু করতে হয় আইনের আশ্রয় নিন। আইন কেউ হাতে তুলে নিবেন না।
আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট হতে পারে পাষাণ হতে পারে৷ তারা আমাদের প্রতিবেশী, প্রতিবেশীদের আমরা ভালবাসবো। তারা যদি ভালো থাকে আমরাও ভালো থাকবো। সুতরাং আমরা প্রতিবেশীকে ডিস্টার্ব করা পছন্দ করি না। তিনি আরও বলেন, আমাদের অঙ্গীকার এই সমাজের প্রতি,আমরা কথা দিচ্ছি আমরা কোন অপরাধ করব না। আমরা কোন ধরনের দুর্নীতি লুণ্ঠন করব না। এবং কাউকে দুর্নীতি লুণ্ঠন করতে দেব না। আমরা নিজেরা ঘুষ খাই না ঘুষ খেতেও দেবো না। আদালতে অফিসে বিভিন্ন জায়গায়, সরকারি স্বায়ত্বশাসিত বিভিন্ন সংস্থায় জনগণ সেবা পাওয়ার জন্য যাবে। সেখানে কোন লাল ফিতার দৌঁরাত্ব দেখানো হবে না।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের তৎকালীন আমীর হযরত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং সেক্রেটারি জেনারেল আলী আশরাফ মাহবুব মুজাহিদ তারা পাঁচ বছর পর্যায়ক্রমে তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশের জনগণ সাক্ষী তাদের দুই হাতের চার আঙ্গুল সম্পূর্ণ ২০ আঙ্গুল পরিচ্ছন্ন ছিল। তারা নিজেরা দুর্নীতি করেননি এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয়ও দেয়নি।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা শাখার আমীর অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম তিনি বলেন, “বৈষম্য ও ফ্যাসিবাদ দূর করার জন্য ছাত্র-জনতার বিপ্লব হয়েছে। সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই প্রয়োজন।
সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে অতীতের মতো আশঙ্কা রয়েছে। সরকার দ্রুত সংস্কার করে সুন্দর নির্বাচন উপহার দেবে। বিগত সাড়ে পনের বছর কেউ ভোট দিতে পারেননি। এখন ভোট দেয়ার সুযোগ এসেছে। তিনি কর্মীদের আত্মগঠন করার আহবান জানান। সেই সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। আরও বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান বেলাল। আমন্ত্রিত অতিথির বক্তৃতা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ.খ.ম আলমগীর সরকার।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলা সেক্রেটারী অধ্যাপক আন্তাজুল ইসলামের সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন- জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, সহকারী সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা সভাপতি অধ্যাপক মনিরুজ্জামান জুয়েল, রংপুর মহানগর জামায়াতের সাবেক সেক্রটারী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী, বাংলাদেশ ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি তাজমুল হাসান । অনুষ্ঠানে দলটির বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।