admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর, ২০২২ ৬:১৩ অপরাহ্ণ
মিরু হাসান, বগুড়া প্রতিনিধিঃ চৌপাশ নাট্যাঞ্চল আয়োজিত “এডভান্সিং ইয়ুথ এক্টিভিজম টু এড্রেসঃ জেন্ডার বেইসড ভায়োলেন্স” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যৌথভাবে এতে সহায়তা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, ইউএনডিপি, সিআরআই এবং ইয়ং বাংলা। গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবার, বগুড়া জেলার শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, , বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি ও পরিবহন সেক্টরের প্রতিনিধিবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশার উদ্যেক্তা নারী অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালার শুরুতেই চৌপাশ নাট্যাঞ্চল এর সাধারণ সম্পাদক এটিডি এঞ্জেল এর সঞ্চালনায় নারীর নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে “উইমেন সেইফটি ইন পাবলিক প্লেস” ক্যাম্পেইনের ভূমিকা তুলে ধরেন। এ সময়ে অংশগ্রহণকারীরা গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে নিজ নিজ জায়গা থেকে আইডিয়া শেয়ার করেন।ইউএনডিপি বাংলাদেশ ও ইয়াং বাংলা পরিচালিত ডাব্লিউএসপিপি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই কর্মশালাটা আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালাটির মূল লক্ষ ছিলো নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা বন্ধে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। বিশেষভাবে নারীর নিরাপদ চলাচল নিশ্চেতে সম্মেলিত উদ্যোগ গ্রহণ করা। মূল উপস্থাপনায় বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮.২ এবং ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রীয় ও জনজীবনের সবক্ষেত্রে নারীদের সমান অধিকার এবং চলাফেরার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ অনুযায়ী শ্রমবাজার ও কর্মক্ষত্রে সমান অধিকারসহ সব ধরনের জাতীয় অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীর সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। তবে প্রতীয়মান যে, জনস্থানে নারী ও মেয়ে শিশুদের ওপর হয়রানি বন্ধে বিদ্যামান আইন ও নীতিমালা গুলো যথেষ্ট নয়।
এ সময় অংশগ্রহণকারী সদস্যরা বলেন, জনসমাগম স্থল ও চলার পথকে নারীদের জন্য নিরাপদ করতে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি রোধে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই। একজন নারীর নিরাপত্তা ও চলার পথকে মসৃন করতে হলে, তাঁকে অবশ্যই উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। নারীর নিরাপত্তা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ তরুণ সমাজ ও নাগরিকদের ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা দরকার বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
অধ্যক্ষ আসাদুল হক বেলাল বলেন, জনস্থানে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ তরুণ সমাজ ও নাগরিকদের ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা অতীব জরুরী। জাতীয় জীবনে নারী ও কন্যা শিশুদের হয়রানি ও সহিংসতা বিষয়ে নিরবতা ভাঙ্গা, সময়ের সাথে সাথে আচরনে ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা, ভুক্তভোগী ও নির্যাতনের শিকার নারীদের সহিংসতা বন্ধে কথা বলতে উৎসাহিত করা, অপরাধীদেরকে দৃঢ় ও সুনির্দিষ্ট বার্তা দেয়া এই কর্মশালার অন্যতম লক্ষ্য।