হোম
নাগরিক ভাবনা

নাগরিক ভাবনাঃ করোনা ও অনলাইন শিক্ষার সম্ভাবনা, অ্যাডভোকেট আবু মহী উদ্দীন

admin || মুক্ত কলম সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ জুন, ২০২০ ১:৩২ অপরাহ্ণ

Korona-online-education-Abu Mohiuddin-mknewsbd

ফাইল ছবি

নাগরিক ভাবনাঃ করোনা ও অনলাইন শিক্ষার সম্ভাবনা, অ্যাডভোকেট আবু মহী উদ্দীনঃ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৬ আগষ্ট পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার বর্তমান যে অবস্থা তাতে আর সব কিছু সীমিত বা বর্ধিত আকারে চালু করলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা যাবেনা এ ব্যপারে কারো দ্বিমত থাকা উচিত নয় । আমার ধারণা কেউই এই ধারণা পোষন করেননা বা দাবী করবেননা স্কুল কলেজ খুলে দিতে হবে। ৬ আগষ্টের পর পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে এখুনি সে কথা জোর দিয়ে বলা যাবেনা। তবে কতক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক হবেনা বলে আমি মনে করি।

বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইস্তেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষনা দিলে দেশের মানুষ তাঁকে এবং তাঁর দলকে অকুন্ঠ সমর্থন জানায়। কারণ এতে জাতির আকাঙ্খার প্রতিফলন ছিল। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি ডিজিটাল দেশ গড়ার জন্য সকল খাতেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। আর তখন থেকেই সমস্যা তৈরি হতে থাকে। তখন থেকেই একটি ডিজিটাল সরকার গড়ে তোলার জন্য কোন পর্যায়েই কোন প্রচেষ্টার কমতি রাখা হয়নি।
বলার অপেক্ষা রাখে না যে সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর ও সমাজের সকল স্তরকে ডিজিটাইজ করার জন্য অবকাঠামো তৈরি করার কাজটির প্রতি সরকারকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হয়েছে।

সরকারের সকল মন্ত্রণালয়ই ডিজিটাল সরকার গঠনে কাজ করেছে। ঔপনিবেশিক আমলের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এক সময়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনস্থ ও বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত এটুআই নিরলসভাবে সরকারের সর্বাঙ্গ ডিজিটাল করার প্রচেষ্টা চালিয়ে এসেছে এবং এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। অন্তত: ২০০৯ সাল থেকে এটুআই নামক প্রতিষ্ঠানটির সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার তার সকল কর্মকান্ডকে ডিজিটাল করার জন্য তার পক্ষে সম্ভব সকল কাজই করেছে। এই করোনাকালে সরকারী অফিসগুলো সবচেয়ে বড় যে সমর্থনটা পেয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ডিজিটাল ডাকঘর, ডিজিটাল অর্থ সেবা এবং অবশ্যই ই-নথি।

২০২০ সালে সরকারের যে কোন প্রতিষ্ঠান ই-নথির সহায়তায় কাগজের জগৎ থেকে বের হয়ে আসতে পারার সক্ষমতা অর্জন করেছে। একই সঙ্গে ঘরে বসে সরকারী সেবা পাওয়া, মোবাইলে আর্থিক লেনদেন করতে পারা, জমির পর্চা, নামজারি ইত্যাদি সেবাসমূহ প্রতিদিনই বিস্তৃত হচ্ছে। ই নামজারিতে আমরা জাতিসংঘের পুরস্কারও পেয়েছি। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সকল মন্ত্রণালয়ে শতকরা ৯৫ ভাগ কাগজের ফাইল আসতো। এখন প্রায় মন্ত্রণালয়ে কাগজের কোন ফাইল আসে না। এর ফলে করোনাকালে ঘরে বসে সবাই তার বিভাগের সকল কাজ সম্পন্ন করতে পারছেন। ইচ্ছা করলে কারো হাতে একটি ফাইলও কোন সময়ের জন্য পেন্ডিং থাকবেনা। খুব সঙ্গত কারণেই কাগজের ব্যাক আপ থাকলেও সরকারের সকল ডাটা ডিজিটাল হতে বাধ্য হয়েছে। চিঠিপত্র থেকে ফাইলের নোট সবই ডিজিটাল হয়েছে।

এই সময়ের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র, মেশিন রিডেবল পাসপোর্টসহ সকল কাজেই ডিজিটাল ছোঁয়া লেগেছে। ব্যাঙ্ক-বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হবার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছে ডিজিটাল অর্থব্যবস্থা পৌঁছানোর জন্য মোবাইল ফাইনেন্সিয়াল সেবা ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়েছে। দেশের ৫০ লাখ উপকারভোগী মানুষের নিজের মোবাইল ফোনে সরকারের প্রণোদনা পৌঁছে দেবার মতো অসাধারণ একটি কাজ আমাদের জন্য স¥রণীয় হয়ে থাকবে। এখন সরকারের সকল প্রকারের ভাতা-প্রণোদনা, বৃত্তি ডিজিটাল পদ্ধতিতে মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই প্রাপকের কাছে পৌঁছাচ্ছে।

৫০ লাখ মানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অর্থ সহায়তার ঘোষনা দিতেই ২ দিনের মধ্যে তালিকা হলো। অসৎ জনপ্রতিনিধি এবং ইউ এন ও অফিসের যেসব কর্মচারী বিভিন্ন প্রয়োজনে এই রুপ ভুয়া তালিকা প্রনয়নে সিদ্ধ হস্ত তারা কেউ কেউ ২০০/১০০ জনের নামের পাশে নিজের মোবাইল নম্বর জুড়ে দিয়ে বাজেট করতে বসে গেল । ২/১ দিনের মধ্যে এতগুলো টাকার মালিক হবো। টাকাগুলো কি কি খাতে খরচ হবে তার খসড়া বাজেটও হয়তো করা হয়েছিল। দেখা গেল ৫০ লাখের মধ্যে ৪২ লাখের কাছে টাকা পাঠানো গেলনা। কারন কি ? ঐতিহাসিক ডিজিটাল পদ্ধতি। আইডি নং, সিমের আইডি , ছবি না মিললে তার কাছে টাকা গেলনা। যারা এখান থেকে আয় ইনকাম করার মতলব করেছিল তারা খামোশ হয়ে গেল। দেশের মানুষ খুশী হলো। ডিজিটাল ব্যবস্থার জয় এবং এর উপর আস্থা বাড়লো। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ যে এতোবড়ো ফাঁদ পেতে বসেছিল ঐ সব অসৎ লোকেরা ঘুনাক্ষরেও তা টের পায়নি। এবারে আবার শুরু হলো তালিকা সংশোধনের কাজ। ডিজটাইজেশনের চরম সার্থকতা।

অন্যদিকে ডিজিটাইজেশনে আমাদের সবচেয়ে বড়ো অপূর্ণতা শুধু নয় ব্যর্থতা রয়েছে শিক্ষা বিভাগে। অথচ শিক্ষা বিভাগই সবচেয়ে বেশী অগ্রসর থাকার কথা। সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োগ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে সেইভাবে ডিজিটাল ব্যবস্থা পৌঁছাত পারিনি। ক্লাসরুেেম কম্পিউটার গেছে-কিন্তু সেই কম্পিউটারকে ব্যবহার করে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষাদানের পাশাপাশি ক্লাসরুম ডিজিটাল করা বা শিক্ষার ডিজিটাল করার ক্ষেত্রে আমরা তেমন আগানোর চেষ্টা করিনি। আমাদের টিচার লেড কনটেন্ট হয়েছে-শিক্ষক প্রশিক্ষণ চলছে-কিন্তু করোনাকালে আমরা টের পেলাম যে শিক্ষক, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, অভিভাবক এমনকি ছাত্র-ছাত্রী পরিপূর্ণ ডিজিটাল শিক্ষার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না, তারা প্রস্তুত না।

এর জন্য আমি মনে করি জনপ্রতিনিধিদের দায় দায়িত্ব বহন করতে হবে। কেননা বর্তমান সরকারের সময় (আগেও তা ছিল) সকল মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাদরাসা , কলেজে, হয় এমপি সাহেবরা অথবা তাঁর মনোনীত প্রতিনিধিরা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। স্কুল বা কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চাইলে কোন কাজ হবেনা সেটা আমি মনে করিনা। আর তা যদি তারা করতে না পারেন তবে তাদেরকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে বসানো হয় কেন ? বিষয়টি খুব পরিস্কার। আমরা প্রথম জীবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন যখনই বাসায় কোন সাইকেল ওয়ালা অতিথি আসতেন, যে কোন উপায়ে তার সাইকেলটা নিয়ে চালানোর চেষ্টা করতাম। এভাবেই সাইকেল চড়া শিখেছেন দেশের অধিকাংশ লোক। সেই একই ভাবে বলা যায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়োগের সময় প্রযুিক্ত জ্ঞান থাকা আবশ্যক এবং তার নিজের কম্পিউটার থাকতে হবে এমন শর্ত আরোপ করলে একটু প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন সভাপতি পেলে স্কুল কলেজগুলোর ডিজিটাল ক্লাশরুমের সমস্যার সমাধান হতো।

এখন কেউ তেমন আর সভাপতি হতে আগ্রহ প্রকাশ করেনা কেননা নিয়োগটা সরকারের হাতে যাওয়ার পর আগ্রহ কমেছে। দলকানা দলীয় আধামুর্খ বা স্বল্প শিক্ষিত লোকজনদের সভাপতি পদে নিয়োগের কারণ ছিল সেটাই মুখ্য। স্কুল পাশ করেনি এমন লোককে ডিগ্রি কলেজের সভাপতি বানিয়ে কি সর্বনাশটা করা হয়েছে , এর মাসুলতো দিতে হবে। পক্ষান্তরে সরকার এখাতে খরচ করতে কার্পণ্য করেনি। সরকার স্কুল কলেজের শিক্ষককে ট্রেনিং দিয়েছে। ল্যাপটপ দিয়েছে , ডিজিটাল ল্যাব বানিয়ে দিয়েছে, কম্পিউটার , প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারতো এসে ব্যবহার করতে দিবেনা। শিক্ষা বিভাগের অবশ্যই ঘাটতি আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে ১ দিন ছুটি আর যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনা মনিটরিং করবেন সেই জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিস ২ দিন ছুটি। তার কারণ হতে পারে, যারা এসব নীতিমালা তৈরি করেন তাঁদের ছেলেমেয়েরা এদেশে বা এই জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়েনা।

করোনাকালীন শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারে মুখ থুবরে পড়েছে। এ রকম তো হবার কথা না। কেননা শিক্ষা বিভাগই ডিজিটাইজেশনের অগ্রণী ভুমিকা পালন করবে। দুঃখ জনক হলো শিক্ষা ব্যবস্থাই সবচেয়ে পিছেেন আছে। ইতোমধ্যে অনেকে বলছেন অনলাইনে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে, সঙ্গে সঙ্গে কিছু বুদ্ধিজীবি হৈহৈ রৈরৈ করে উঠেছেন । তারা বলার চেষ্টা করছেন ছাত্র ছাত্রীদের হাতে ডিজিটাল ডিভাইস নাই , ইন্টারনেট নাই, উপযুক্ত শিক্ষক নাই ইত্যাদি । তবে অবকাঠামোর অভাব ছাড়াও আমরা মানসিকতার দৈন্যদশায় বেশী আছি। প্রাথমিক স্তর ছাড়া অন্য পর্যায়ে শিক্ষা বিভাগ মানসম্পন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট দিতে পারেনি। মাধ্যমিক পর্যায়ে আমাদের পাঠক্রম বদলায়নি-পাঠদান পদ্ধতিও বদলায়নি। দেশের শিক্ষককূলকে ডিজিটাল শিক্ষার উপযোগী করা সম্ভব হয়নি , তেমন কোন ফলপ্রসু চেষ্টাও করা হয়নি। প্রাথমিক-মাধ্যমিকতো দূরের কথা উচ্চশিক্ষার শিক্ষকরা ডিজিটাল পদ্ধতির শিক্ষাদানেই অক্ষম। তারা শুধু জ্ঞানী। প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি দরকারও হয়নি। বহু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন টিভি ভিত্তিক শিক্ষা চালু করতে পারেনি।

শিক্ষকদের বিরোধিতা, প্রশাসনের বা মালিকদের বিরোধিতা ছাড়াও এমনকি ছাত্রছাত্রীদের বিরোধিতার মুখোমুখি হতেও হয়েছে। একটি দূরদর্শী পরিকল্পনায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ঘটানো যায়নি। কিছু কম্পিউটার ল্যাব বা ডিজিটাল ক্লাসরুম করে আমরা যা করেছি তা যে প্রয়োজনের সময় অপ্রতুল, বলতে গেলে কিছুই করা হয়নি, সেটি এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। যদিও বলা হচ্ছে উচ্চশিক্ষার ছাত্রছাত্রীদের শতকরা ৮৩ জনের স্মার্ট ফোন আছে তথাপি এই তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকার পাশাপাশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের যে টিভিটাও নেই অনেকের এটিই এখন হয়তো বাস্তবতা। কিন্তু তারপরও কথা থেকে যায়। সব কিছু রেডি করে অনলাইন শিক্ষা চালু করা হবে এই ধারণা যিনি পোষণ করেন তার জন্য বলি কোনদিনই সব কিছু রেডি হবেনা রাধার নাচনও শুরু হবেনা। যখন প্রথম প্রথম অনলাইণে ভর্তির বিষয় চালু করা হলো তখনও হৈ চৈ শোনা গিয়েছিল। এখনতো তা চালু হয়েছে। অনলাইন ক্লাশ চালু হলে শীঘ্রই তা ঠিক হয়ে যাবে। এর স্বপক্ষে যুক্তি হলো, ছাত্রটিকে যাতায়তের জন্য খরচ করতে হবেনা, হোষ্টেলে থাকার খাওয়ার খরচ করতে হবেনা, শিক্ষকের অভাবে ক্লাশ মিস হবেনা, বৃষ্টি বাদলে ক্লাশ বন্ধ থাকবেনা। একটানা ক্লাশ করতে হবেনা।

বিরতি দিয়ে দিয়ে ক্লাশ করা যাবে। রাতেও ক্লাশ করা যাবে। কোন একজন ছাত্র ইচ্ছা করলে একাধিক শিক্ষকের ক্লাশ করতে পারবে। এখনতো বিদ্যুতের অভাব নাই। বিদ্যুৎ তো শতভাগ। কোথাও না হলে তা করতে হবে বা সোলার সিষ্টেম চালু করতে হবে। সারা দেশে জালের মতো এনজিওরা আছে টিভি কেনার জন্য লোন দেওয়ার জন্য। ছাত্রটিকে স্কুল কলেজে যেতে হচ্ছেনা ফলে পরিবারকে সহায়তাও করতে পারবে। পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য ভুমিকা রাখতে পারবে। অল্প দিনের মধ্যে কিস্তি শোধ হবে। তবে সরকারের করনীয় হলো ওয়াই ফাই ফ্রি করে দেওয়া অথবা খুব অল্প দাম নেওয়া। বিষয়টি চালু করলেই সমস্যা তৈরি হবে, সমাধানের রাস্তাও খুলে যাবে।

তবে একথা স্বীকার করতেই হবে যে আমাদের অনেক অপূর্ণতা থাকা সত্তেও এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমাদের জনগণ নতুন প্রযুক্তি, নতুন পরিবেশ ও নতুন জীবনধারার সঙ্গে খাপ খাইয়ে যতটা পথ চলেছে তা অবিস্মরণীয়। যে মানুষটি জীবনে কোনদিন স্মার্ট ফোনে কেবল হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেছে সেই মানুষটি এখন জুমে দিনে চার পাঁচটি মিটিং করে- ঘরে বসে অফিস চালায়। এমনকি সারা পৃথিবীর সঙ্গে ব্যক্তিগত-সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ স্থাপন করে চলেছে। যে শিশুটি কোনদিন কোন স্মার্ট ফোন দেখেনি সেও তার বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে ডিজিটাল কনটেন্ট দিয়ে পড়াশোনা করছে। যে গ্রামে ৬১ সালে শিক্ষার হার শতকরা ১ ভাগ ছিল না সেই গ্রামের শিক্ষক এখন অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। সুতরাং আমাদর উচিৎ হবে কালবিলম্ব না করে অনলাইনে ক্লাশ চালু করা। চালু করলে সমস্যা দেখা দিবে, আর সমস্যা সমাধানের জন্য একেবারে প্রস্তুত থাকতে হবে এবং ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীরা থেমে থাকতে রাজী নয়। তারা এগিয়ে যাবে।

মতামত জানান :

এই রকম আরও টপিক

Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

নওগারঁ সাপাহারে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
জাতীয় 7 hours আগে

জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন গুরুতর আহত।
অপরাধ 7 hours আগে

পার্বতীপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোচনা সভা।
জাতীয় 12 hours আগে

বসুন্দিয়ায় রাইটস যশোরের আলোচনা সভা,ভিডিও শো ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত।
খুলনা 12 hours আগে

আবুল খায়ের অফিসের তালা ভেঙ্গে নৈশ প্রহরীকে খুন করে দুর্ধর্ষ
দুর্ঘটনা 12 hours আগে

এসওএস চিলড্রেন ভিলেজের উদ্যোগে মাদকবিরোধী সমাবেশ ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত।
রংপুর 22 hours আগে

পঞ্চগড় জেলায় অবৈধ ইট ভাটা অভিযানে দুইটি ইট ভাটায় উচ্ছেদ
আইন-বিচার 1 day আগে

হাদীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় দিনাজপুর সীমান্ত ৪২ বিজিবির রেড অ্যালার্ট
নির্বাচিত কলাম 1 day আগে

বগুড়ায় ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ও আহত
দুর্ঘটনা 1 day আগে

সিঙ্গাপুরে শ্রমিক ডরমিটরিতে সিএনবির অভিযানে ৭ জন বাংলাদেশী শ্রমিক গ্রেপ্তার।
আন্তর্জাতিক 2 days আগে

পাঠকপ্রিয়

শিরোনাম :

হাদীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় দিনাজপুর সীমান্ত ৪২ বিজিবির রেড অ্যালার্ট জারি। রোহিঙ্গা মেয়েরা পাচার ছাড়াও বিদেশীদের দ্বারা যৌন কাজে ব্যবহারের টার্গেট হয়ে উঠছে ঠাকুরগাঁওয়ে নানা কর্মসূচিতে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত। ঠাকুরগাঁও জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪র্থ জেলা রোভার মুট-২০২৫। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের প্রদর্শনী ও সমাপনী অনুষ্ঠিত। পার্বতীপুরে জাতীয় প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি প্রকল্পের উদ্বোধন। রাণীশংকৈলে জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত পলাতক শেখ হাসিনার অগ্রণী ব্যাংকের লকার ভেঙে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ জব্দ রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০ জন ৩ ডিসেম্বর রংপুরে বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে দিনাজপুরে ৮ ইসলামী দলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত: সিইসি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬ হাজার কৃষক পাচ্ছে বিনামূল্যে গম বীজ ও সার। মাত্র চার মাসের শিশু সুমাইয়া বাঁচতে চায়! পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন। ভূমিকম্পে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে এখনই শক্তিশালী ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রাজধানীতে  আজ থেকে ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন? নীলফামারীতে পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণ। আর কোনো পরিস্থিতি নেই যে নির্বাচন ব্যাহত হবে-ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল  ৫-বছরেও শেষ হয়নি ওয়াশব্লকের নির্মাণ কাজ-জনস্বাস্থ্য অফিস বলছেন বাদ দেন চা খাওয়ার জন্য কিছু নেন। পার্বতীপুরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের দাবীতে কর্মী সভা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নদী বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক সমাবেশ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ইউএনও এক গৃহহীন ভারসাম্যহীন নারীর পাশে দাঁড়ালো। ৮ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর নার্সিং এসোসিয়েশন দিনাজপুর জেলা শাখার স্মারকলিপি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ইউনিয়ন সিএসওর লাইভস্টক সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় প্রেম করে বিয়ে অতপর ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী। দিনাজপুরে ৩ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসবের সমাপনী। দিনাজপুরের বিরলে শতাধিক নেতা-কর্মীর মামলা থেকে বাঁচতে ফ্যাসিস্ট আ,লীগ থেকে পদত্যাগ! অভিযোগ দিয়ে ও কাজ বন্ধ হচ্ছে না আদমদিঘীতে সরকারি জায়গা দখল করে করা হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণ! বগুড়ার কইপাড়ায় নববধূ শম্পা হত্যার অভিযোগ, যৌতুক দাবির জেরে স্বামী আটক দিনাজপুরে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে ক্যাসিনো জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার