ড. নুরুল হক,বিরামপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার পৌর শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা নদীর উপর নির্মিত কাঠের সেতু যেন মরণ ফাঁদ। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে জনসাধারণ।
২০১৫ সালে ছোট যমুনা নদীর উপর সাবেক পৌর মেয়র আজাদুল ইসলাম আজাদ নিজ অর্থায়নে ২২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জনসাধারণের পারাপারের জন্য কাঠের পাঠাতন দিয়ে সেতু নির্মাণ করেন। সেতুটি নির্মাণে পশ্চিম অঞ্চলের জনসাধারণের বিরামপুর পৌর শহরে প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
প্রতিদিন হাজার হাজার জনসাধারণ, পন্যবাহী ভ্যান, রিক্সা, মোটর বাইক ,সাইকেল সেতুটির উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে। সেতুটির কাঠের পাটাতন পুরাতন হওয়ায় কাঠ গুলি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিরামপুর পৌরসভা কর্তৃক জোড়া তালি দিয়ে সেতুটি সচল রেখেছে কিন্তু যে কোন সময় দুর্ঘটনা সম্ভাবনাও রয়েছে।
সরি জমিনে দেখা যায় সেতুটির উপর দিয়ে জনসাধারণ সাইকেল, ভ্যান, চলাচলের সময় এমনভাবে দুলতে থাকে এবং নড়বড় করে যেন যে কোনো সময় ভেঙ্গে পড়বে। এদিকে বর্ষার পানির স্রোতের চাপে সেতুটি দুমড়ে মুছড়ে নদীতে বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেতুটির পাশে পৌরসভা কর্তৃক একটি সতর্কতা সাইনবোর্ডে লেখা, ‘এই কাঠের সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মালামাল সহ ভ্যান রিক্সা চলাচল নিষেধ’ এ বিষয়ে পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুজহাত তাসনিম আওন জানান সেতুটির টেন্ডারের আহ্বান করা হয়েছে।
শেষ তারিখ ৭ মে। বিরামপুর পৌরসভা ইঞ্জিনিয়ার শরাফত ইসলাম ডাকুয়া জানান, সেতুটি পাঠাতন মেরামতের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে ৭ তারিখে ওপেনিং ১৫/১৬ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। সেতুটির গুরুত্ব বিবেচনায় জনসাধারণর পূর্ণাঙ্গ সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানান।