এনামুল হক,নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলার সাপাহার উপজেলার রাইপুর মৌজায় জেএল নং ৫৫ ও দাগ নাম্বার ৬৫৭ এলাকায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)- ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক গভীর নলকূপের অনুমোদন পেয়ে চেক টাকার পরও স্থাপন হয়নি গভীর নলকূপ লোকসানের মুখে কৃষকগণ, শতাধীক কৃষকগণের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ ওঠেছে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের উপর।এ বিষয়ে ওই গ্রামের শতাধিক কৃষকগণের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ রিজিয়ন-২ (পত্নীতলা) নির্বাহী প্রকৌশলীর বরাবর জমা দেন।
এ বিষয়ে গ্রামের শতাধিক কৃষক স্বাক্ষরিত অভিযোগে বলেন, জে এল নম্বর ৫৫, দাগ নম্বর ৬৫৭, মোজা- রায়পুর, সাপাহার, নওগাঁ- এ স্থাপিত একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছিল দীর্ঘদিন গভীর নলকূপটি চলার পর অকেজো হয়ে পড়ায় পূণরায় গ্রামবাসি পূণ স্থাপনের জন্যে আবেদন করলে যে স্থানে গভীর নলকূপটি ছিল সে জায়গার মালিক বাদা প্রদান করেন বলে আমার এখানে আর নলকূপ স্থাপন করা যাবে না ৩ শতাংশ জমির মূল্য অনেক এরকম সমস্যার সমুক্ষীন হলে গ্রামের লোকজন অনেক খোঁজা পুঁজির পর আরেকটা স্থান নির্বাচন করেন জায়গার মালিকের সাথে কথা বলে এবং গণরুপে জন্য পার্টিসিপেশন ফি ১লাখ টাকা গ্রামবাসীর কৃষকের পক্ষে জমা প্রদান করেন।
এই গণকূপের আওতায় ১০০ জন কৃষকের ধানসহ বিভিন্ন ফসলের প্রায় ২০০ বিঘা জমি রয়েছে। সে কারনে ওই মাঠে অন্য স্থানের টেস্ট বোরিং (বালু টেস্ট) করার মৌখিক অনুমতি দেন কর্তৃপক্ষ। তারা সরেজমিনেও পরিদর্শন করেন। ২২/০১/২৫ তারিখে বালু টেস্ট রিপোর্ট এ স্বাক্ষর করেন তারাসহ আরো ৫ জন। এরপর আবারও তারা হয়রানি শুরু করেন।
কৃষকগণ অভিযোগে আরোও উল্লেখ করেন বরেন্দ্র্র কর্তৃপক্ষের পরিষদর্শক আব্দুর রব বিভিন্ন টার বাহানা করে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের দাবি করেন। আব্দুর রব কৃসকদের হুমকি দিযে বলেন আমার বাড়ি নাচোল বেশি চেষ্টা করছেন, জানতে পারলে চীরদিনের মতো গভীর নলকূপ করা বন্ধ করে দিবো। নাহলো আমার মতোনীতি লোকের সাথে সমঝোতা করে আসেন। অফিসে আসলে কপালে বিপদ আছে এসব বলে হুমকি দেন তিনি। আপনাদের গভীর নলকূপ বন্ধ থাকলে আমার কোনো ক্ষতি নেই। বরং হলে ঝামেলা বাড়বে। তার হুমকী ও হয়রানির জন্য এই গণকূপের আওতাধীন কৃষকদের প্রায় ২০ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের পরিষদর্শক আব্দুর রব এর সাথে কথা হলে তিনি জানান,কেন গভীর নলকূপ স্থাপন হচ্ছে না সে বসিয়ে বড় কর্ককর্তার সাথে কথা বললে ভালো হয়।দায়িত্বে থাকা এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই গভীর নলকূপ স্থাপনের পার্টিসিপেশন ফি এর টাকা আমার দায়িত্ব পাওয়ার আগে যে অফিসার দায়িত্বে ছিলেন সে গ্রহণ করেছে আমি দায়িত্ব পাবার পর দেখি ওখানে দুটি পক্ষ দুর জায়গায় গভীর নলকূপ স্থাপন করতে চা আমি দুপক্ষকে এক সাথে ডেকে বলেছি আপনার দুপক্ষ এক হয়ে সিদ্ধান্ত নেন কোথায় স্থাপন করলে ভালো হবে সেটার রেজুলেশন দিলে কাজ শুরু হবে।কৃষকগণ দাবী করে বলেন অতিদ্রুত গভীর নলকূপ স্থাপন করে আমাদের কৃষি ফসল গুলোকে বাঁচাক।