admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু দেশের সাড়ে তিন হাজার কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা, যাতে এবার অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী। সোমবার সকাল ১০টা থেকে এসএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও সহজ বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং কারিগরি বোর্ডে ভোকেশনালে বাংলা-২ (১৯২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) এবং বাংলা-২ (১৭২১) (সৃজনশীল) (নতুন সিলেবাস/পুরাতন সিলেবাস) এবং বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে প্রথম দিন।
গত ১ ফেব্রম্নয়ারি এই পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোটের তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় সোমবার সেটা শুরু হলো।
আগামী ২৭ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও কারিগরির তত্ত্বীয় এবং ১ মার্চ পর্যন্ত দাখিলের তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা হবে। আর ২৯ ফেব্রম্নয়ারি থেকে ৫ মার্চের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নিতে হবে।
কেন্দ্র পরিদর্শন শিক্ষামন্ত্রীর
পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে কোনো কর্মসূচি না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই সঙ্গে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়িয়ে পরীক্ষার পরিবেশ ব্যাহত না করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সোমবার রাজধানীর তেজগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন মন্ত্রী। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ৯টি সাধারণ বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ড মিলে এবার সারাদেশে তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ৩৪২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন।
মোট ৩৫টি বিষয়ে ১৫ কর্ম দিবসে ১৭ শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩৫৮০ সেট প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে। মুদ্রণ করা হয়েছে ২৭৯০ সেট প্রশ্ন।
তিনি বলেন, মোট ৩০ বিষয়ে সৃজনশীল এবং পাঁচ বিষয়ে রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু পরীক্ষা নিশ্চিত করতে এক লাখ ২০ হাজার শিক্ষক দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি সার্বিক পরিবেশ মোকাবিলায় দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়- এমন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরও বিএনপি হরতাল কর্মসূচি দিয়েছিল, তারা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
অনিয়মের সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোথাও কোথাও রেজিস্ট্রেশন নিয়ে সমস্যা হয়েছে, তদন্তের পর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষাসচিব মাহবুব হোসেন, অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গোলাম ফারুক প্রমুখ।