admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি, ২০২৪ ২:৪৫ অপরাহ্ণ
কুঞ্জ পাল, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ শহরে যানজট কমানোসহ যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণ করা হয় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। কিন্তু উদ্বোধন হলেও ব্যবহার না হওয়ায় দেড় যুগের বেশি সময় ধরে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছে টার্মিনালটি। প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে পাঁচ বিঘা জমির ওপর এলজিইডির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয় এটি। তৎকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এই টার্মিনালটির উদ্বোধন করেন।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ী কাউন্টার খুলে বিক্রি করছেন বিভিন্ন রুটের যাত্রী টিকিট। অথচ টার্মিনালটিতে সাধারণ যাত্রীদের জন্য টিকিট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, শপিংস্টোরসহ সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। এরপরও দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে সেখানে। সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরাও। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না করার ফলে টার্মিনালটি মাদকদ্রব্য সেবনের জায়গায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস পার্কিংয়ে যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনাও।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, জেলার একমাত্র বাস টার্মিনালটি মানুষ শূন্য। দুটি বিশ্রামাগার ও একটি টিকিট কাউন্টার থাকলেও তা তালাবদ্ধ। পরিষ্কার না করায় ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে ভবনের চার পাশ। প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে দরজা-জানালা। ভেতরে বেশ কয়েকটি বাস থাকলেও সেগুলোও বিকল। দিনাজপুর-পঞ্চগড়ের যাত্রীরা ওঠানামা করছে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়কের ওপর থেকে।
স্থানীয়রা বলছেন, টার্মিনাল থাকার সত্যেও পরিবহনগুলো ঝুঁকি নিয়ে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করছে। এতে দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে তেমনি সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। একপ্রকার বাধ্য হয়েই সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতোদিনেও টার্মিনালটি চালু না হওয়ায় কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন তারা।
টার্মিনালটি সচলের বিষয়ে বাস মালিক সমিতির নেতারা কথা বলতে রাজি না হলেও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি যাতে দ্রুত চালু করা যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বাস মালিক ও পৌরসভার কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন তিনি।