মোক্তারুজ্জামান মোক্তার,পার্বতীপুর,দিনাজপুর প্রতিনিধি || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৪:৫৬ অপরাহ্ণ
পার্বতীপুরের বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থকরা দিনাজপুর-৫ আসন মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে আজ ১১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা থেকে উপজেলা বাসটার্মিনাল চত্বরে হরতাল,
রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ পালন করেছে। জানা গেছে, দিনাজপুর ৫ আসনকে ঘিরে লাগাতার কর্মসূচি মধ্যে আজ সকাল থেকে নেতা কর্মী সমর্থকরা বাসটার্মিনাল চত্বরে এসে উপস্থিত হন। সমাবেশে বিক্ষুদ্ধ নেতা কর্মী সমর্থকরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও রাস্তা চৌ’দেকে অবরোধ করে রাখে। নেতা কর্মী সমর্থকরা দিনাজপুর ৫ আসন মনোনয়ন বাতিলের প্রতিবাদ ও স্লোগানে মখরিত করে তোলে রাজপথ। সকাল ১১ টা ১৩ মিনিটে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সহায়তা রাস্তার চলাচল স্বভাবিক আবস্থায় ফিরে আসে।
এরপর বিক্ষোভ মিছিলটি পুরাতন বাজার হয়ে নতুন বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিএনপির কার্যালয়ে এসে সমাপ্তি ঘটে। উল্লেখ্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর – ৫ আসন পার্বতীপুর- ফুলবাড়ি মনোনয়ন কে কেন্দ্র করে দু’উপজেলার বিএনপির নেতা কর্মী সমর্থকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে।
গত ৪ ডিসেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় মনোনয়ন দিনাজপুর -৫ আসন ব্যারিষ্টার কামরুজ্জামানের নাম প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গে এ আসনটিতে তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করে চলছে । ৫ ডিসেম্বর পার্বতীপুর বিএনপির শাখা কার্যালয় ও ৬ ডিসেম্বর পার্বতীপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল ছাড়াও পার্বতীপুর বিএনপির লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে। গত ৯ ডিসেম্বর উপজেলা বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠন ও ১০ ডিসেম্বর উপজেলা মহিলা দল ও পৌর বিএনপির সকল অঙ্গ সংগঠন সহযোগী দল বিক্ষোভ মিছিল পালন করেছে।
এ লাগাতার কর্মসূচি মধ্যেমনি দিনাজপুর -৫ আসন পার্বতীপুর-ফুলবাড়ি বিএনপির গণমানুষের নেতা এ জেড এম রেজওয়ানুল হক তিনি তার ভেরিফাই পেজে কেন্দ্রীয় বিএনপির নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দিনাজপুর-৫ আসনের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে একটাই কথা বলছে,“আমাদের সিদ্ধান্ত, আমাদের নেতা, আমাদের ভবিষ্যৎ—এটা আমরা নিজেরা ঠিক করবো।” মনোনয়ন বোর্ডকে আমরা বারবার বাস্তবতা জানিয়েছি।
ফুলবাড়ি-পর্বতীপুরের ঘুরে ঘুরে মানুষের রক্তগরম করা কণ্ঠ তুলে ধরেছি। আমরা জানিয়েছি, যাকে জনগণ চেনে না, যাকে মাঠে-ঘাটে কেউ খুঁজে পায়নি, যে মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে ছিল না,তার হাতে এই আসনের ভবিষ্যৎ তুলে দেওয়া যায় না। আমরা প্রতিবাদ করেছি, আলোচনা করেছি, অনুরোধ করেছি,
যাতে জনগণের অনুভূতি, ৩২ বছরের বন্ধন, হক সাহেবের অবদান সবকিছু বিবেচনায় নেওয়া হয়। কিন্তু মনোনয়ন বোর্ড যদি এসব শোনার পরেও চোখ বন্ধ করে রাখে, জনগণের রায়ের মূল্য না দেয়, তাহলে কি আমরা চুপচাপ বসে থাকবো? না কি নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেদের হাতে তুলে নেবো? স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া মানে বিদ্রোহ নয় – এটা জনগণের ন্যায্য অধিকার রক্ষার আন্দোলন।
এটা কোনো ব্যক্তির লড়াই নয়, এটা ফুলবাড়ি-পার্বতীপুরের মানুষের আত্মসম্মানের লড়াই। যে মানুষ আপনাদের ঘরে ঘরে গিয়ে সুখ-দুঃখ ভাগ করেছে, দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে, ৩২ বছর ধরে এই মাটিকে আগলে রেখেছে, তার পাশে দাঁড়ানো মানে নিজের অস্তিত্বকে সম্মান করা। আজ প্রশ্ন একটাই, যদি মনোনয়ন বোর্ড জনগণের কণ্ঠ উপেক্ষা করে, তাহলে আমরা কি নিজের পথ নিজেই ঠিক করবো? আমরা কি স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে জনগণের চাওয়া পূরণ করবো বলে ঐ পেজে উল্লেখ করেন।