জুলহাস উদ্দীন || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ ৯:১৪ অপরাহ্ণ
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে তেঁতুলিয়ায় কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা তিন দফা দাবি আদায়ে রাজপথে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। কর্মসূচির একটি বিক্ষোভ র্যালি উপজেলার প্রধান সড়ক হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বর প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক তেতুলতলা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের দাবি আদায়ের কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করেছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড়-১ আসনের প্রার্থী ব্যারিস্টার মুহম্মদ নওশাদ জমির, বিএনপির উপজেলা সভাপতি শাহাদত হোসেন রঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ মিয়া ও এনসিপির উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যাস সুলতানা রাজিয়া। তারা বলছেন, শিক্ষকদের দাবি যৌক্তিক। সরকারের প্রতি আহবান শিক্ষকদের দাবি দ্রæত মেনে নেয়া হোক।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভজনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, কালান্দিগঞ্জ ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা উসমান গনি, ফকিরপাড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, সিপাইপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম রাসেল, সহকারি শিক্ষক তহিদুল হক, শালবাহান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাফর, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির তেঁতুলিয়া উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব আলী, ভজনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, আমরা শিক্ষক গত ৩০ সেপ্টেম্বর অর্থ বিভাগ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে। এটা দিয়ে আমাদের চলা সম্ভব নয়। আমরা তিন দফা দাবি আদায়ে গত রবিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলাম। সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জ, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারের ঘটনার প্রতিবাদ ও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষকদের দাবি, মূল বেতনের অন্তত ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা (ন্যূনতম ৩,০০০ টাকা), শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য ১,৫০০ টাকা হারে চিকিৎসা ভাতা, কর্মচারীদের উৎসব ভাতা মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ হারে প্রদানে বাস্তবায়নে প্রজ্ঞাপন জারি করলে তারা বিদ্যালয়ে পাঠ্যবাসে ফিরে যাবেন।
এদিকে শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও তাদের শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে একমত হয়ে শিক্ষকদের দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষকদের ভালো থাকা মানেই শিক্ষার মান উন্নয়ন। এ জন্য শিক্ষকদের দাবি দূরত্ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।