হোম
আন্তর্জাতিক

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের জন্য কী থাকছে ?

admin || মুক্ত কলম সংবাদ

প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি, ২০২০ ১২:১৪ অপরাহ্ণ

Tramp-usa-mknewsbd

ফাইল ছবি

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে হোয়াইট হাউসে মিস্টার ট্রাম্প বলেন, তার প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের জন্য “শেষ সুযোগ হতে পারে। বহুল প্রতীক্ষিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যেখানে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য রাজধানী রাখার অঙ্গীকার আছে। তিনি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রেরও প্রস্তাব করেছেন এবং পশ্চিম তীরের ইহুদী বসতির উপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে হোয়াইট হাউসে মিস্টার ট্রাম্প বলেন, তার প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের জন্য শেষ সুযোগ হতে পারে। এই প্রস্তাবকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এটি নাকচ করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। আমি ট্রাম্প এবং নেতানিয়াহুকে বলছি: জেরুজালেম বিক্রির জন্য নয়, আমাদের সব অধিকার বিক্রি হবে না এবং এ নিয়ে দর কষাকষিও হবে না। এবং আপনাদের চুক্তি, ষড়যন্ত্র পাস করা হবে না, পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি একথা বলেন। এই নীলনকশা, যা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা সংঘাতের সমাধান করার লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে সেটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের দায়িত্বে রচিত হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভ করে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি, সেসময় পশ্চিম তীরে সেনা মোতায়েন জোরদার করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এই যৌথ ঘোষণা এমন এক সময় আসলো যখন মিস্টার ট্রাম্প এবং মিস্টার নেতানিয়াহু উভয়ই নিজ নিজ দেশে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন। মার্কিন সেনেটে অভিশংসনের বিচারের মুখে রয়েছেন মিস্টার ট্রাম্প এবং অন্যদিকে মঙ্গলবার মিস্টার নেতানিয়াহুর দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি চেয়ে করা প্রস্তাব বাতিল হয়েছে। দুজনই কোন ধরণের অপরাধ করার কথা অস্বীকার করেছেন। ইসরায়েলে থাকা মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রিডম্যান বলেন, এই ঘোষণার সময়টা কোন রাজনৈতিক ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট করে নির্ধারণ করা হয়নি, এটা বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তৈরি করাই ছিল।

এরমধ্যে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয় যে মিস্টার নেতানিয়াহু দখলকৃত পশ্চিম তীরের ৩০% ইসরায়েলের সাথে যুক্ত করার কথা ভাবছেন, এ বিষয়ে রোববার মন্ত্রীসভার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। পশ্চিম তীরের বসতিতে চার লাখেরও বেশি ইসরায়েলি বাস করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব বসতি অবৈধ, যদিও ইসরায়েলের এনিয়ে দ্বিমত রয়েছে। মিস্টার ফ্রিডম্যান বলেন, পশ্চিম তীরের অংশ যুক্ত করা নিয়ে ইসরায়েলকে মোটেই অপেক্ষা করতে হবে না।

বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য রয়েছে ট্রাম্পের পরিকল্পনায়

বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস সমস্যা সমাধানের লক্ষ্য রয়েছে ট্রাম্পের পরিকল্পনায়

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় কী আছে?
আজ ইসরায়েল শান্তির পক্ষে বড় ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছে, হোয়াইট হাউসে নিজের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকদের বলেন মিস্টার ট্রাম্প।  আমার দূরদৃষ্টি বলছে, এটা উভয় পক্ষের জন্যই একটি জয়ের সুযোগ, একটি বাস্তবসম্মত দ্বি-রাষ্ট্রের সমাধান যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার মুখে থাকা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের মর্যাদার প্রতি হুমকি দূর করবে।

তার প্রস্তাবগুলো হলো:

•যুক্তরাষ্ট্র সেই সেসব এলাকার উপর ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেবে যা মিস্টার ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইসরায়েলের অংশ। এই পরিকল্পনায় একটি আনুমানিক মানচিত্রের কথা বলা হয়েছে যা মিস্টার ট্রাম্পের মতে ভূমি এবং সীমানাগত ত্যাগ যা ইসরায়েল করতে আগ্রহী।

•এই মানচিত্রটি “ফিলিস্তিনি ভূমির আয়তন দ্বিগুন করবে এবং পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি রাজধানী করার সুযোগ তৈরি করবে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র একটি দূতাবাস গড়বে বলে জানান মিস্টার ট্রাম্প। ফিলিস্তিনের দ্য প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন-পিএলও বলে, মিস্টার ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফিলিস্তিনিদের তাদের উল্লেখিত ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের” ১৫% এর উপর নিয়ন্ত্রণ দেবে মাত্র।

•জেরুজালেম ইসরায়েলের অবিচ্ছেদ্য রাজধানী থাকবে। পবিত্র এই শহরকে নিজেদের বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি উভয়ই। ফিলিস্তিনিদের দাবি অনুযায়ী, ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমের যে অংশ দখল করে নিয়েছে তা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী।

•ফিলিস্তিনিদের জন্য নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জনের সুযোগ বলেছেন- কিন্তু তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

• কোন ফিলিস্তিনি বা ইসরায়েলিকেই তাদের বাড়ি থেকে উৎখাত করা হবে না এটা থেকে বোঝা যায় যে, ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে বসতি থাকবে।

•ইসরায়েল জর্ডানের বাদশাহর সাথে কাজ করবে এটা নিশ্চিত করতে যে, জেরুজালেমে ইহুদীদের পবিত্র অঞ্চল টেম্পল মাউন্ট এবং মুসলিমদের আল-হারাম আল শরিফ যাতে সংরক্ষিত থাকে। এই অঞ্চলটি পরিচালনায় গঠিত ট্রাস্টটি ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে জর্ডান।

•মিস্টার ট্রাম্পের প্রস্তাবিত মানচিত্রে ফিলিস্তিনের জন্য যে ভূমি বরাদ্দ করা হয়েছে তা চার বছরের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং এতে কোন ধরণের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে না। এই সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনিরা চুক্তি সম্পর্কে পড়াশোনা করে, ইসরায়েলের সাথে সমঝোতা করবে এবং রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মানদণ্ড অর্জন করবে। ফিলিস্তিনিরা দরিদ্রতা এবং সহিংসতার মধ্যে রয়েছে, যারা তাদেরকে সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থায় গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে তাদের দ্বারা শোষিত হচ্ছে। আরো ভাল জীবন তাদের প্রাপ্য, মিস্টার ট্রাম্প বলেন।

মঙ্গলবার রামাল্লার রাস্তায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনিরা।

মঙ্গলবার রামাল্লার রাস্তায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করে ফিলিস্তিনিরা।

তিনি আরো ইঙ্গিত দেন যে এই পরিকল্পনায় পশ্চিম তীরকে বিভক্ত করা হবে না। ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে আমরা একটি সংলগ্ন এলাকা তৈরি করবো, যখন সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যানসহ রাষ্ট্র হওয়ার জন্য মানদণ্ড অর্জনের সব শর্ত পূরণ হবে, তিনি বলেন। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বুধবার এই পরিকল্পনা নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনা করতে মস্কোতে যাবেন মিস্টার নেতানিয়াহু।

এর কী ধরণের প্রতিক্রিয়া এসেছে?
নিজের বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট আব্বাস বলেন, জেরুজালেমকে রাজধানী না করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে যেকোনো ফিলিস্তিনি, আরব, মুসলিম কিংবা খ্রিস্টান শিশুর জন্য মেনে নেয়া অসম্ভব। আমরা হাজারবার বলেছি, না, না, না, তিনি বলেন। আমরা শুরু থেকেই এই চুক্তির বিরোধিতা করেছি এবং আমরা সঠিক ছিলাম। ফিলিস্তিনের জঙ্গী গোষ্ঠী হামাস যা গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ করে, তারাও এই চুক্তি নাকচ করেছে এবং বলেছে যে, এর লক্ষ্য হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের জাতীয় প্রকল্প নিঃশেষ করে দেয়া। জাতিসংঘ বলেছে যে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের আগে যখন ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও গাজা দখল করে নেয় সে অঞ্চলে সীমান্ত রেখা স্থাপনের মাধ্যমে দুই রাষ্ট্রের সমাধানে অটল থাকবে তারা।

মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ এমন একটি শান্তি চুক্তি চায় যা জাতিসংঘের প্রস্তাবনা, আন্তর্জাতিক আইন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্মতির ভিত্তিতে হবে। ইসরায়েলের মানবাধিকার গোষ্ঠী বি’সালেম বলে, এই প্রস্তাবটি এক ধরণের জাতি-বিদ্বেষ তৈরি করবে। এটা বলে যে, ফিলিস্তিনিদের পরিণত করা হবে ক্ষুদ্র, বেষ্টিত, বিচ্ছিন্ন ছিটমহলে, যাদের নিজেদের জীবনের উপর কোন নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।

পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনি এলাকা এবং ইহুদী বসতির মাঝখানে দেয়াল দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসরায়েলের পিস নাউ সংস্থা বলে, এই পরিকল্পনা বাস্তবতার সাথে সম্পর্কহীন এবং আকর্ষণীয়। বসতিগুলোকে ইসরায়েলের সাথে যুক্ত করার সবুজ সংকেত দেয়ার বিনিময়ে ত্রুটিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা অবাস্তব এবং এটি স্থিতিশীলতা আনবে না, সংস্থাটি বলে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব ফিলিস্তিনিদের আহ্বান জানিয়েছেন এই পরিকল্পনাটি নিয়ে আসল এবং ন্যায্যভাবে বিবেচনা করতে এবং এর মাধ্যমে সমঝোতা আলোচনায় ফিরে যাওয়ার পথে প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে কিনা তা বিবেচনা করতে।

পেছনের ঘটনা কী?
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে সব যোগাযোগ বন্ধ করে ফিলিস্তিন। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করে তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তরের ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পর এই পদক্ষেপ নেয় দেশটি। তখন থেকে, যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনের জন্য সব ধরণের দ্বিপক্ষীয় সহায়তা বন্ধ করেছে এবং জাতিসংঘের ফিলিস্তিন বিষয়ক সংস্থা রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজি- ইউএনআরডাব্লিউএ’র জন্য সব ধরণের অনুদানও বন্ধ করেছে। নভেম্বরে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন যে, পশ্চিম তীরে ইহুদী বসতি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী- চার দশকের এমন অবস্থান থেকে সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার একটি জরুরী বৈঠক ডেকেছে আরব লীগ।

কোন কোন বিষয় ঝুঁকির মুখে রয়েছে?
মধ্যপ্রাচ্যের অন্য যেকোনো সংঘাতের চেয়ে ইসরায়েল আর ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সবচেয়ে একগুঁয়ে। যদিও ১৯৯৩ সালে দুই পক্ষ একটি শান্তি চুক্তিতে সই করেছিল, তারপরেও ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে দুই পক্ষ একে অপর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলেছে।

জেরুজালেম: ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিন উভয়েই এই শহরের উপর নিয়ন্ত্রণ দাবি করে। ইসরায়েল যারা ১৯৬৭ সালে জর্ডানের কাছ থেকে এর পূর্বাঞ্চল দখল করে নিয়েছিল, তারা পুরো জেরুজালেমকেই নিজেদের রাজধানী দাবি করে। ফিলিস্তিনারও পূর্ব জেরুজালেমকে-যেখানে তাদের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ বাস করে- তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী দাবি করে।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের মর্যাদা: ফিলিস্তিনিরা নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চায়। যার মধ্যে থাকবে পশ্চিম তীর, গাজা এবং পূর্ব জেরুজালেম। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রস্তাবের পক্ষে মত দিয়েছেন কিন্তু এটির যে আকার হবে তা নিয়ে তার আপত্তি রয়েছে। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র হবে ডিমিলিটারাইজড এবং তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার সক্ষমতা থাকবে কিন্তু তা ইসরায়েলের প্রতি হুমকি হবে না।

স্বীকৃতি: ইসরায়েলের দাবি, যেকোনো ধরণের শান্তি চুক্তিতে ইসরায়েলকে “ইহুদিদের জাতি রাষ্ট্র” হিসেবে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি থাকতে হবে। তারা মনে করে, এটি না হলে ফিলিস্তিনিরা ইহুদীদের ভূমির উপর তাদের মালিকানার দাবি অব্যাহত রাখবে, যার কারণে সহিংসতা থেকেই যাবে। ফিলিস্তিনিরা বলে যে, ইসরায়েল যা দাবি করে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়, কিন্তু ইসরায়েলকে ইহুদী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়াটা হবে ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত আরব বাসিন্দা, যারা মুসলিম, খ্রিস্টান এবং দ্রুজ তাদের স্বার্থ বিরোধী।

সীমানা: ফিলিস্তিনের সীমানা কোথায় হওয়া উচিত তা নিয়ে দুই পক্ষেরই আলাদা মতবাদ রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৯৪৯ এবং ১৯৬৭ সালের অস্ত্র বিরতি চুক্তি যা ইসরায়েলকে পূর্ব জেরুজালেম, গাজা এবং পশ্চিম তীর থেকে আলাদা করেছিল সে অনুযায়ী সীমানা রেখা হওয়া উচিত। ইসরায়েল বলে, ওই রেখাগুলো সামরিকভাবে অরক্ষনীয়/অযৌক্তিক এবং এগুলো কখনোই স্থায়ী হতে পারে না। তারা বলেনি যে কোথায় সীমান্ত হওয়া উচিত তবে এটা বলেছে যে তাদের নিজেদের পূর্ব সীমানা হওয়া উচিত জর্ডান নদীর তীর ধরে।

বসতি: ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল প্রায় ১৪০টি বসতি গড়ে তুলেছে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে। যার মধ্যে ১২১টি আউটপোস্ট বসতি সরকারের অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলোতে প্রায় ৬ লাখ ইহুদী বাস করে। বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই বসতিকে অবৈধ মনে করে থাকে, যদি ইসরায়েল এর বিরোধিতা করে। ফিলিস্তিনিরা বলে যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তৈরির জন্য এসব বসতি সরিয়ে ফেলা উচিত। মিস্টার নেতানিয়াহু এসব বসতি কখনোই সরিয়ে ফেলা নয় বরং এসব এলাকা ইসরায়েলের সার্বভৌমত্বের অন্তর্ভূক্ত করার কথা বলছেন।

শরণার্থী: জাতিসংঘ বলছে, প্রায় ৫৫ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে মধ্যপ্রাচ্যে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তারা (ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বলছে যে শরণার্থীর সংখ্যা ৬০ লাখ)।

মতামত জানান :

এই রকম আরও টপিক

Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

নওগাঁর সাপাহারে আনন্দঘন সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ।
রাজশাহী 9 hours আগে

সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২০ হাজার মার্বেল সরবরাহ দিয়ে ছিল
অপরাধ 9 hours আগে

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
জাতীয় 9 hours আগে

বগুড়ায় খেঁজুরের রস পানে প্রাণ গেল ৬ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর!
দুর্ঘটনা 10 hours আগে

পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় এবার মিনি রিসোর্ট উদ্বোধন।
দর্শনীয়-স্থান 10 hours আগে

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সুদানে প্রাণ হারালেন রাজারহাটের শান্ত
দুর্ঘটনা 10 hours আগে

আজ পার্বতীপুর মুক্ত দিবস
রংপুর 17 hours আগে

নওগারঁ সাপাহারে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
জাতীয় 1 day আগে

জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন গুরুতর আহত।
অপরাধ 1 day আগে

পার্বতীপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোচনা সভা।
জাতীয় 1 day আগে

পাঠকপ্রিয়

শিরোনাম :

হাদীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় দিনাজপুর সীমান্ত ৪২ বিজিবির রেড অ্যালার্ট জারি। রোহিঙ্গা মেয়েরা পাচার ছাড়াও বিদেশীদের দ্বারা যৌন কাজে ব্যবহারের টার্গেট হয়ে উঠছে ঠাকুরগাঁওয়ে নানা কর্মসূচিতে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত। ঠাকুরগাঁও জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪র্থ জেলা রোভার মুট-২০২৫। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের প্রদর্শনী ও সমাপনী অনুষ্ঠিত। পার্বতীপুরে জাতীয় প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি প্রকল্পের উদ্বোধন। রাণীশংকৈলে জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত পলাতক শেখ হাসিনার অগ্রণী ব্যাংকের লকার ভেঙে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ জব্দ রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০ জন ৩ ডিসেম্বর রংপুরে বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে দিনাজপুরে ৮ ইসলামী দলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত: সিইসি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬ হাজার কৃষক পাচ্ছে বিনামূল্যে গম বীজ ও সার। মাত্র চার মাসের শিশু সুমাইয়া বাঁচতে চায়! পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন। ভূমিকম্পে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে এখনই শক্তিশালী ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রাজধানীতে  আজ থেকে ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন? নীলফামারীতে পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণ। আর কোনো পরিস্থিতি নেই যে নির্বাচন ব্যাহত হবে-ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল  ৫-বছরেও শেষ হয়নি ওয়াশব্লকের নির্মাণ কাজ-জনস্বাস্থ্য অফিস বলছেন বাদ দেন চা খাওয়ার জন্য কিছু নেন। পার্বতীপুরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের দাবীতে কর্মী সভা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নদী বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক সমাবেশ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ইউএনও এক গৃহহীন ভারসাম্যহীন নারীর পাশে দাঁড়ালো। ৮ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর নার্সিং এসোসিয়েশন দিনাজপুর জেলা শাখার স্মারকলিপি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ইউনিয়ন সিএসওর লাইভস্টক সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় প্রেম করে বিয়ে অতপর ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী। দিনাজপুরে ৩ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসবের সমাপনী। দিনাজপুরের বিরলে শতাধিক নেতা-কর্মীর মামলা থেকে বাঁচতে ফ্যাসিস্ট আ,লীগ থেকে পদত্যাগ! অভিযোগ দিয়ে ও কাজ বন্ধ হচ্ছে না আদমদিঘীতে সরকারি জায়গা দখল করে করা হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণ! বগুড়ার কইপাড়ায় নববধূ শম্পা হত্যার অভিযোগ, যৌতুক দাবির জেরে স্বামী আটক দিনাজপুরে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে ক্যাসিনো জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার