admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর, ২০২২ ১১:০৭ অপরাহ্ণ
কুঞ্জ পাল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলকপি ও বাঁধাকপির বাম্পার ফলন হওয়ায় স্বপ্ন বুনছেন চাষীরা। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক মুনাফায় কপি চাষের বিকল্প নেই।এবারো আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির কদর বেড়েছে শীতকালীন সবজি বাজারে।

এলাকার কপি চাষীরা জানান, চারা রোপণ করে প্রয়োজনীয় সার কীটনাশক ও সেচ দিয়ে পরিচর্যা করলে ৭০-৭৫ দিনের মধ্যেই ফুলকপি আর বাঁধাকপি বাজারজাত করা সম্ভব। এবার বাজারে ফুলকপি আর বাঁধাকপির প্রচুর চাহিদা থাকায় দামও বেশ ভালো। পাইকাররা ক্ষেত থেকেই এসব সবজি কিনে নিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে মুনাফা পেয়ে বেশ খুশি ঠাকুরগাঁওয়ে কপিচাষিরা। ঠাকুর গাঁও সদরে ৩নং আক্চা ইউনিয়নের মকবুল হোসেন বলেন, এক বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষে ১১ হাজার টাকা খরচ করেছি। আমি নিজেই জমিতে কাজ করি। ওই ক্ষেত থেকে আমি ৪৫ হাজার টাকার কপি বিক্রি করেছি।
ওই জমিতে আবারো নতুন করে ফুলকপি চাষ করবো।৭নং চিলারং ইউনিয়নের কৃষক বেলাল হোসেন বলেন, দুই বিঘা জমিতে আট হাজার ফুলকপির চারা রোপণ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতিটি ফুলকপি ৩-৫ শ’ গ্রাম ওজনের হয়েছে। কিছুদিন আগে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে জমিতেই বিক্রি করছি। বর্তমানে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আশা করছি খরচ বাদে ৪০-৫০ হাজার টাকা লাভ হবে।কৃষক সাইদুর ইসলাম, রশিদুল ইসলাম ও মোজাম্মল হক বলেন, কিছুটা দেরিতে বাঁধাকপি চাষ করেছি। প্রতিটি চারার পেছনে খরচ হবে দুই টাকা। কপি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বাজার ধরতে পারলেও ভালো মুনাফা হবে। আশা করছি ভালো বাজার পাবো এবং মুনাফাও আসবে।