admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৯ আগস্ট, ২০২০ ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার ছয় মাসের স্থগিতাদেশের সময়সীমা শেষ পর্যায়ে। তাই নতুন করে স্থগিতাদেশের সময়সীমার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবে তার পরিবার। এই আবেদনে দেশে চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসার কথাও উল্লেখ করা হতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজার ছয় মাসের স্থগিতাদেশের সময়সীমা শেষ পর্যায়ে। তাই নতুন করে স্থগিতাদেশের সময়সীমার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাবে তার পরিবার। এই আবেদনে দেশে চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসার কথাও উল্লেখ করা হতে পারে। শনিবার গণমাধ্যমকে তথ্যটি জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন।
চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ মাসেই সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার স্থগিতাদেশের সময়সীমার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করতে পারে পরিবার। তবে আবেদনে যাই লেখা থাক, আপাতত বেগম জিয়ার দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো চিন্তা অথবা ইচ্ছে নেই। এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সাজা স্থগিতের সময় বাড়াতে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগের বারও তারা আবেদন এবং সরকারের সঙ্গে কথা বলে সাজা স্থগিত করিয়েছিলেন। ম্যাডাম যেহেতু সুস্থ হননি এবং তিনি একেবারেই আগের অবস্থাতে আছেন, তাই সাজা স্থগিতের সময় বাড়ানো প্রয়োজন। সময় মতোই আবেদন করা হবে।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া বর্তমানে গুলশানের বাসা ফিরোজাতে আছেন। তিনি এখন আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।ম্যাডামের চিকিৎসা যেটা চলছিল সেটাই চলছে। হাসপাতালের ডাক্তাররা যেটা চিকিৎসা দিয়েছিলেন সেটাকেই ফলোআপ করছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এখন যতটুকু সম্ভব তার বউমা ডা. জোবায়দা রহমানের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা চলছে, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব। এর আগে গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিত করা হয়। সেই হিসেবে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি।