admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ৫ জুন, ২০২০ ৯:২০ পূর্বাহ্ণ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় গত ২৯’শে মে করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করে মোঃ সহিদুর রহমান রাজার ২৩ বছর বয়সী মেয়ে মোছা রানী স্বামী মোঃ আকবর, শ্বশুর বাড়ি আউলিয়াপুর ইউনিয়নে।দিবাগত রাত ১ টা ৩০ মিনিটে তার মৃত্যুর পর তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়া যায় নি,ভয়ে খোজ নেন নি তার পিতা মাতা।তার মৃত্যুর পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পারেন তার শ্বশুর বাড়ি তাকে গ্রহন করবে না,তার শ্বশুর বাড়ির পারিবারিক গোরস্তানে সেখানকার স্থানীয় জনসাধারণ কবর দিতে দেবে না।
এরপর তার পিতা মাতার নিজ ইউনিয়নের দক্ষিণ বটিনা গোরস্তানেও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবর দিতে পারেন নি স্থানীয় জনসাধারণের বাধার কারণে,এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার চেয়ারম্যানকে উক্ত ইউনিয়নেই দাফন করার নির্দেশ দিলে শেষ পর্যন্ত তাকে ইউপি সদস্যের জমিতে দাফনের প্রস্তুতি নেয়,তারপরও বাধা,এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সদর থানাকে পুলিশ ফোর্সকে প্রেরণ করে দাফন সম্পন্ন করে। একজন ব্যাক্তি মৃত্যুবরণ একটুকু জায়গা কি তার ভাগ্যে জুটবে না,এটা কোন ধরনের মানবিকতা।
আজ মৃত মোছা রানীর রিপোর্ট এসেছে, তার করোনা ছিলো না। তার রিপোর্ট নেগেটিভ।পজেটিভ হলেও কি মৃত ব্যাক্তির তার নিজ এলাকায় দাফন করা যাবে না। তাই সবার প্রতি আহবান মৃত ব্যাক্তি করোনায় মারা গেলেও তাকে ধর্মীয় রীতিতে দাফন করা যায়,মৃত ব্যাক্তির প্রতি আমারা মানবিক হবো,তার দাফনে সহযোগিতা করবো।কারণ কাল যে কারো এ ধরনের পরিনতি হতে পারে। আব্দুল্লাহ-আল-মামুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঠাকুরগাঁও সদর।