admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর, ২০২০ ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ
উত্তরাঞ্চরের বাণিজ্যিক ও পর্যটন উন্নয়ন দুটি বিমানবন্দর। উত্তরাঞ্চরের নীলফামারীর সৈয়দপুর বাণিজ্যিক শহর। বিভাগীয় শহর রংপুর সিটি কর্পোরেশনের চেয়েও উপজেলা শহর সৈয়দপুরে শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠান বেশি। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিয়ে উর্দুভাষী ও বাংলাভাষী মানুষের এই শহরটির আবালবৃদ্ধবনিতার স্বপ্ন এখন শিখর চূড়ায়। কারখানায় রেলের বগি তৈরি হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণ চলছে। অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত হলেই ভারত, নেপাল, ভুটান, চীনসহ অনেক দেশের আকাশপথে সৈয়দপুরের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
স্থানীয়ভাবে তৈরি পাটের লন্ড্রি ব্যাগ, টয় (খেলনা) ব্যাগ, গেম ব্যাগ, সোলজার ব্যাগ, শপিং ব্যাগ সরাসরি ইংল্যান্ড, আমেরিকা, জার্মানী, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া যাবে। পদচারণা বাড়বে বিদেশি ব্যবসায়ী-পর্যটকদের। পাল্টে যাবে মানুষের জীবন ধারা। দার্জিলিং থেকে ৫৮ কিমি দূরে বাগডোগরা বিমানবন্দর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরের জেলাগুলোর যাত্রীসেবা দেয়।
৩৯ বছর ধরে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর। পরিণত হয়েছে গো-চারণভূমিতে। পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে। রানওয়ে ছেয়ে আছে আগাছায়। স্থানীয়রা ফসল শুকানোর কাজে ব্যবহার করছেন রানওয়েটিকে। স্থানীয়দের দাবি বিমান চলাচল পুনরায় চালু করা হোক। এতে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের মানুষকে ঘুরপথে আর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে যেতে হবে না।
ঠাকুরগাঁও জেলা শহর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ঠাকুরগাঁও-পীরগঞ্জ সড়কের পাশে শিবগঞ্জ-মাদারগঞ্জ এলাকায় ৫৫০ একর জমির উপর ১৯৪০ সালে এ বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সামরিক উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। বন্দরের রানওয়ে তিন কিলোমিটার লম্বা। এই রানওয়ের পশ্চিম প্রান্তে ছিল ১০টি সাব-রানওয়ে। যেখানে যুদ্ধবিমান লুকিয়ে রাখার বিশেষ সুবিধা ছিল। পাকিস্তান আমলের প্রথমদিকে বিমানবন্দরের জমি আর্মি স্টেট হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে সিভিল এভিয়েশন বিভাগ ১১১ একর জমি একোয়ার বা হুকুমদখল করে নেয়। ওই অংশে বিমানবন্দরের স্টল ভবন ও রানওয়ে অবস্থিত।
এ দিকে দীর্ঘ অনেক বছর ধরে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালু না হওয়ায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হতে বসেছে। যেখানে বিমান উঠা নামা করার কথা সেখানে গোচরন করছে। এই বিমানবন্দরটি চালু হলে ঠাকুরগাঁও,পঞ্চগড় এই দুই জেলার মানুষের অনেক সুবিধা হতো। এই দুই জেলায় পর্যটননগরী হিসেবে উন্নয়ন ঘটতো। তা ছাড়াও এখান থেকে ভারতের দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, নেপাল অতি নিকটে যা পর্যটকদের ভ্রমন সুবিধা হতে পারে। এই কারণে অর্থনিতির চাকা সচল রাখতে বড় ভূমিকা রাখতো। ঠাকুরগাঁও জেলা। দীর্ঘদিন ধরে অত্র এলাকার মানুষ পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটিকে চালুর দাবী চলে আসছে রেল ও যোগাযোগ মন্ত্রী মহদয় আশ্বাস দিয়েছেন বিমানবন্দরটি চালু করার, কিন্তু অনেক সময় অতিবাহিত হয়ে গেছেন এখন পর্যন্ত আশারবানী শুনতে পায়নি অত্র এলাকার মানুষ।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে প্রতিদিন যে সকল বিমানের যাত্রী যাতায়াত করে তার বেশির ভাগ এই দুই জেলার। তাই ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় বাসির প্রাণের দাবী ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালু করতে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন।