admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৩ ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
প্রতিবেদনঃ ওহিদুল ইসলাম (সোহেল) ঈশ্বরদী পাবনাঃ ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ‘নিকিমথ নামে একটি সাব-ঠিকাদারে প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। শনিবার সকালে ঈশ্বরদী শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে পাবনা জেলার সীমানাবর্তী কুষ্টিয়ার শিলাইদহ নদীর ঘাটপাড়ে একটি প্রাইভেট গাড়ির ভেতর থেকে মৃত অবস্থায় তার লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। খুন হওয়ার ওই ব্যক্তির নাম সম্রাট হোসেন (২৯)। সে ঈশ্বরদী শহরের আলহাজ্ব ক্যাম্পের আবু বক্কারের ছেলে। সে দু’দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চালক সম্রাট কারো দ্বারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই মুহূর্তে এর বেশি কিছু জানানো যাচ্ছে না। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঘটনা তদন্তে নেমেছে।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশ জানায়, সম্রাট গত দুদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে গতকাল শুক্রবার ঈশ্বরদী থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দেয়। অভিযোগের পরপরই পুলিশ সম্রাটের সন্ধান শনাক্তের জন্য বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর নেয়। এরইমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘সম্রাট খুন’ হয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় পুলিশ আরো তৎপর হয়ে ওঠে। তবুও সম্রাটের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আজ সকালে কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ শিলাইদহ নদীঘাটে সাদা একটি প্রাইভেট কারের ভেতরে মৃত অবস্থায় একটি লাশের সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সম্রাটের বাবা ও প্রাইভেট গাড়ির মালিক আনিসুর রহমানকে ডেকে এনে সম্রাটের লাশ শনাক্ত করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, সম্রাটের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ ঘটনার সম্রাটের এক বন্ধু মোমেন খানের স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সীমার স্বামী বাড়ি উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাঁশেরবাদা গ্রামে। সীমার স্বামী মোমিন খান একসময় সম্রাটের সংগে চাকরি করতেন। ঘটনার পর থেকে মোমিন খান পলাতক রয়েছে।