admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৫৪ অপরাহ্ণ
কুঞ্জ পাল,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ আমন ধান ঘরে তোলা শেষে অধিক লাভের আশায় আগাম আলু চাষে নেমে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের চাষিরা। হিমাগার থেকে বীজ উত্তোলন, জমি তৈরি, আগাছা পরিষ্কার, সার প্রয়োগ এবং প্রস্তুতকৃত জমিতে আলু রোপণের কাজে ব্যস্ত চাষিরা।
তবে, সময়মতো ও ন্যায্য মূল্যে রাসায়নিক সার না পাওয়ায় চাষিরা পড়েছেন বিপাকে। জেলার সব উপজেলাতেই পুরোদমে চলছে আলু আবাদের প্রস্তুতি। জমি তৈরি করে বিভিন্ন জাতের বীজ আলু কেটে প্রস্তুত করার পর রোপণ করা হচ্ছে। চলছে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ প্রতিরোধে কীটনাশক স্প্রে। পুরো দমে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক, বাণিজ্যিকভাবে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা তবে রাসায়নিক সারের দাম বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত পরিমাণে সার না পাওয়ায় কৃষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। চাষিদের অভিযোগ, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও তারা সার পাচ্ছেন না। আর খুচরা বাজারে সারের দ্বিগুণ দাম।আলু চাষি বিপুল আলী বলেন খুচরা বাজারে পটাশ সারের ৫০ কেজির বস্তা ১৬০০ টাকা, ইউরিয়া ১ হাজার, ডেপ ১২০০ টাকা করে বিক্রয় হচ্ছে। তারপরেও পটাশ সার পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সার পাচ্ছি না। বড় বড় কৃষকরা সার পাচ্ছে। আর আমার মতো ক্ষুদ্র কৃষকরা সার পাচ্ছে না।

নূর ইসলাম নামে আরেক চাষি বলেন, আলু চাষ করতে চেয়েছিলাম ২ একর। কিন্তু সারের কারণে এখন ১ একর জমিতে আলু রোপন করছি। এভাবে চলতে থাকলে আমরা কিভাবে কৃষি করবো। দামও বেশি হলেও সার পাওয়া যাচ্ছে না।কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, এবার সারের এতো সংকট, যা কল্পনা করা যায় না। ডিলারের কাছে তো পটাশ সার পাওয়ায় যায় না। আর বাইরে দ্বিগুণ দাম। এভাবে শুধু আলু না যেকোনো ফসল চাষ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। একদিকে সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বগতি আর অন্যদিকে সারের সংকট তাই আমরা চরম হতাশা ও বিপাকে পড়েছি। এতে কৃষকরা আমরা হুমকির মুখে চাষি হাফিজ উদ্দীন বলেন, এবার সারসহ অন্যান্য কিছুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় একর প্রতি আলু চাষে ১০-১৫ হাজার টাকা বেশি খরচ হচ্ছে।