হোম
লীড নিউজ

আজ সেই ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস

admin || মুক্ত কলম সংবাদ

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল, ২০২০ ৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

Bongobondhu-day-mknewsbd

ফাইল ছবি

বাংলাদেশের সাড়ে ৭ কোটি মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় যথাযথ ভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং বাংলাদেশের মর্যাদা রক্ষার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।

আরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি যে, শাসনতন্ত্র প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান এবং সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপ-রাষ্ট্রপ্রধান পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন। রাষ্ট্রপ্রধান প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীসমূহের সর্বাধিনায়ক পদেও অধিষ্ঠিত থাকবেন। রাষ্ট্রপ্রধানই সর্বপ্রকার প্রশাসনিক ও আইন-প্রণয়নের ক্ষমতা অধিকারী।

আজ সেই ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। আজ থেকে ৪৯ বছর আগে একাত্তর সালের অগ্নিঝরা এই দিনে হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত বাঙালী জাতির আলোকবর্তিকা হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের শপথগ্রহণ আর মুক্তির সনদ উপরোক্ত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে কবর রচিত হয় পাকিস্তানের। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস।

এরপর ৯ মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। বাংলা, বাঙালী, মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর যেন অভিন্ন নাম। স্বাধীনতা অর্জনের পথে ১৭ এপ্রিল এক ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত দিন। বাংলাদেশের স্বাধীন সরকারের শপথ নেয়ার দিন, স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের দিন।

তবে এবছর এ দিনটি এসেছে নজিবিহীন এক সঙ্কটের মধ্যে। বিশ্বজুড়ে ত্রাণ সৃষ্টি করা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাঙালীকেও ঘরে থাকতে বাধ্য করছে। এর আগে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। সারাদেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। এ ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এ কারণে এ দিবসটিও ঘরে বসে পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাঙালী জাতি সুদীর্ঘ দুই শতাব্দীরও অধিককাল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ ও পাকিস্তানের শাসনে শৃঙ্খলিত ছিল। ২৫০ বছর আগে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিল, সেই স্বাধীনতার সূর্য আবারও উদিত হয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে। বাঙালীর দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর তৎকালীন নদীয়ার আরেক অংশ মেহেরপুর মুজিবনগরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে রচিত হয়েছিল আরেকটি ইতিহাস। একাত্তরের অগ্নিঝরা এদিনেই বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ভিত্তিমূল রচিত হয়।

মাত্র দেড়শ বছরের ব্যবধানে একাত্তরের এই দিনে বাঙালী জাতি নতুন করে আবার জেগে উঠে, মুছে দেয় পরাজয়ের গ্লানি। বাঙালীর দীর্ঘ সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর বৈদ্যনাথতলায় রচিত হয়েছিল আরেকটি ইতিহাস। একাত্তরের অগ্নিঝরা এ দিনেই বাঙালীর হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক ভিত্তিমূল রচিত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনী কর্তৃক আক্রান্ত বাঙালী জাতির আলোকবর্তিকা হিসাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রচিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস।

পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক করে এদিন গঠিত হয় প্রবাসী বিপ্লবী সরকার। বিশ্ব মানচিত্রে স্থান পায় স্বাধীনতা বাংলাদেশের নাম। পরবর্তীতে ঐতিহাসিক এ দিবসটি মুজিবনগর দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এ কারণে মুজিবনগর ও ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের ইতিহাসে শুধু নয়, বিশ্ব মানুষের মুক্তির ইতিহাসে আলাদা বিশেষত্ব রাখে। কারণ এখানে ঘোষিত হয়েছিল একটি জাতির মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, জনগণের ম্যান্ডেট মোতাবেক আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আমাদের ক্ষমতায় গণপরিষদ গঠন করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের পবিত্র কর্তব্য সেহেতু আমরা বাংলাদেশকে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি এবং এ দ্বারা পূর্বাহ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করিতেছি।

বছর ঘুরে বাঙালীর জীবনে ফের এসেছে ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বঙ্গবন্ধুকে প্রথম রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ১৭ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি শুধু সারাবিশ্বেই ঐতিহাসিক ভাবে সত্য নয়, পবিত্র সংবিধান এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়েও বিষয়টিকে স্বীকৃত দেয়া হয়েছে। মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা ও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ঘটনা সারাবিশ্বেই ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না।

কী ঘটেছিল সেদিন আম্রকাননেঃ একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে মুক্তিকামী বাঙালীর সশস্ত্র যুদ্ধ চলছে সর্বত্র। যার ধারাবাহিকতায় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল। সেদিন ছিল শনিবার। সীমান্তবর্তী বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আমবাগানের চারদিকে রাইফেল হাতে কড়া প্রহরায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা। হাজার হাজার মুক্তিকামী বাঙালীর উপচেপড়া ভিড় চারদিকে। ঐতিহাসিক স্বাধীনতার মুুহূর্তটি ধারণ করতে দেশী-বিদেশী সাংবাদিকরাও প্রস্তুত। মুক্ত আকাশের নিচে চৌকি পেতে তৈরি করা হয়েছে শপথ মঞ্চ। মঞ্চের ওপর সাজানো ৬ খানা চেয়ার। অনুষ্ঠানের প্রবেশপথে বাংলায় লেখা স্বাগতম।

স্থানীয় সময় ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে আসে সেই মাহেদ্রক্ষণ। নতুন স্বাধীন রাষ্ট্রের নেতারা একে একে আসতে থাকেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে প্রকম্পিত চারদিক। প্রথম শপথ মঞ্চে উঠে এলেন বঙ্গবন্ধুর আজীবনের ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাঁর পেছনে তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেম এম মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বিশ্বাসঘাতক খুনী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও জেনারেল এম এ জি ওসমানী।

যে কোন মুহূর্তে পাক হানাদার বাহিনীর বিমান হামলার আশঙ্কার মুখে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের স্থায়িত্ব হয় মাত্র ৪৫ মিনিট। অনুষ্ঠানের সূচনায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত এবং গীতা, বাইবেল থেকে পাঠ করা হয়। স্থানীয় শিল্পী এবং হাজারো মানুষের কণ্ঠে গাওয়া হয় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’। এরপর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম উত্তোলন করেন মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

এরপর আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের চিফ হুইপ অধ্যাপক ইউসুফ আলী ঐতিহাসিক দলিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। এরপর নতুন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিবর্গ ও সেনাবাহিনীর প্রধানকে শপথ বাক্য পাঠ করান তিনি। শপথ গ্রহণের পর সশস্ত্র তেজোদীপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা এবং আনসার বাহিনীর সদস্যরা মন্ত্রিপরিষদের সদস্যকে রাষ্ট্রীয় কায়দায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পাক শাসকগোষ্ঠীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের।

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে বন্দী থাকায় তাঁকে রাষ্ট্রপতি করেই ঘোষণা করা হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সেদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে শপথ নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সরকারের মন্ত্রিসভায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদকে সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে অর্থমন্ত্রী, এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে বাঙালী জাতির কাছে মীরজাফর ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে বিবেচিত খন্দকার মোশতাক আহমেদকে আইন, বিচার ও পররাষ্ট্র দফতরের মন্ত্রী করা হয়।

শপথগ্রহণের পর পরই প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ জাতির উদ্দেশ্যে বলেন- ‘আমরা যা করছি সবই মুজিবের নির্দেশে। তবে তিনি কোথায় আছেন বলব না। এ অনুষ্ঠান থেকে নতুন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দু’জনই বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের কূটনৈতিক স্বীকৃতি দান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান।

একাত্তরের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার ধারাবাহিকতায় গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের এ প্রকাশ্য শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল বাঙালীর স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক টার্নিং পয়েন্ট। কেননা পাকিস্তানের জল্লাদ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বিশ্বাসীকে দেখাতে চেয়েছিল বাঙালীর স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছে ভারতের মাটিতে বসে। ইয়াহিয়ার এ প্রচার মিথ্যা প্রমাণ করার জন্যই স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মাটিতে বসেই।

নতুন সরকারের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম স্থান পায়। এই মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে ও দক্ষ পরিচালনায় মুক্তিপাগল বাঙালী জাতি নয় মাস মরণপণ সশস্ত্র যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনেন মহামূল্যবান বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্ত আর হাজার হাজার মা-বোনের ইজ্জত, অশ্রু এবং কোটি বীর বাঙালীর আত্মত্যাগে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ স্থান দখল করে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে।

প্রতিবছর সরকারীভাবে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসটি পালন করা হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে কোন কর্মসূচী থাকছে না। মানুষ ঘরে বসেই ঐতিহাসিক এই দিনটির কথা স্মরণ করবে, শ্রদ্ধা জানাবেন দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।

ঐতিহাসিক এই দিবসটি উপলক্ষে মুজিবনগরে অন্যান্য বছরের মতো নেই সাজসাজ রব। তবে দিবসটি উপলক্ষে মুজিবনগর কমপ্লেক্স ও স্মৃতিসৌধের ধোয়া-মোছার কাজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। আনুষ্ঠানিক কর্মসূচী না থাকলেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা রয়েছে।

এছাড়া মেহেরপুর জেলা পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও অন্য অঙ্গসংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা এবং সহযোগী অন্য দফতরের পক্ষ থেকে সুবিধাজনক সময়ে দিবসটি উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আতাউল গণি। দিবনটি উপলক্ষে জেলার তিন উপজেলায় তিনটি তোরণ নির্মাণ করা হবে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মুজিবনগরকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন মেহেরপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আশঙ্কায় আগামী ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। গত ১৩ এপ্রিল মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের আদেশ অনুযায়ী মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনি, স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও তিন উপজেলায় তিনটি তোরণ নির্মাণ। কর্মসূচিতে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জেলা প্রশাসনের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি। মেহেরপুর জেলা পুলিশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অন্য সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন দপ্তর সুবিধাজনক সময়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর তোরণ নির্মাণের দায়িত্বে থাকবেন।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা যুদ্ধের সুতিকাগার প্রথম বাংলাদেশ সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হয় ১৭ এপ্রিল এই মুজিবনগরে। এই সরকারের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করা হয়। এর পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়।

মতামত জানান :

এই রকম আরও টপিক

Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

সর্বশেষ খবর

নওগাঁর সাপাহারে আনন্দঘন সংগঠনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ।
রাজশাহী 9 hours আগে

সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২০ হাজার মার্বেল সরবরাহ দিয়ে ছিল
অপরাধ 9 hours আগে

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
জাতীয় 9 hours আগে

বগুড়ায় খেঁজুরের রস পানে প্রাণ গেল ৬ বছরের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর!
দুর্ঘটনা 10 hours আগে

পঞ্চগড় তেঁতুলিয়ায় এবার মিনি রিসোর্ট উদ্বোধন।
দর্শনীয়-স্থান 10 hours আগে

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সুদানে প্রাণ হারালেন রাজারহাটের শান্ত
দুর্ঘটনা 10 hours আগে

আজ পার্বতীপুর মুক্ত দিবস
রংপুর 17 hours আগে

নওগারঁ সাপাহারে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
জাতীয় 1 day আগে

জমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন গুরুতর আহত।
অপরাধ 1 day আগে

পার্বতীপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে আলোচনা সভা।
জাতীয় 1 day আগে

পাঠকপ্রিয়

শিরোনাম :

হাদীর ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় দিনাজপুর সীমান্ত ৪২ বিজিবির রেড অ্যালার্ট জারি। রোহিঙ্গা মেয়েরা পাচার ছাড়াও বিদেশীদের দ্বারা যৌন কাজে ব্যবহারের টার্গেট হয়ে উঠছে ঠাকুরগাঁওয়ে নানা কর্মসূচিতে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত। ঠাকুরগাঁও জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪র্থ জেলা রোভার মুট-২০২৫। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহের প্রদর্শনী ও সমাপনী অনুষ্ঠিত। পার্বতীপুরে জাতীয় প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি প্রকল্পের উদ্বোধন। রাণীশংকৈলে জাতীয় প্রাণীসম্পদ সপ্তাহ ও প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত পলাতক শেখ হাসিনার অগ্রণী ব্যাংকের লকার ভেঙে ৮৩২ ভরি স্বর্ণ জব্দ রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০ জন ৩ ডিসেম্বর রংপুরে বিভাগীয় মহাসমাবেশ সফল করতে দিনাজপুরে ৮ ইসলামী দলের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সব বাহিনী প্রস্তুত: সিইসি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৬ হাজার কৃষক পাচ্ছে বিনামূল্যে গম বীজ ও সার। মাত্র চার মাসের শিশু সুমাইয়া বাঁচতে চায়! পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটি গঠন। ভূমিকম্পে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে এখনই শক্তিশালী ও সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রাজধানীতে  আজ থেকে ঘরে বসেই মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ করবেন? নীলফামারীতে পাটবীজ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণ। আর কোনো পরিস্থিতি নেই যে নির্বাচন ব্যাহত হবে-ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফখরুল  ৫-বছরেও শেষ হয়নি ওয়াশব্লকের নির্মাণ কাজ-জনস্বাস্থ্য অফিস বলছেন বাদ দেন চা খাওয়ার জন্য কিছু নেন। পার্বতীপুরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারের দাবীতে কর্মী সভা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নদী বাঁচাও আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক সমাবেশ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ইউএনও এক গৃহহীন ভারসাম্যহীন নারীর পাশে দাঁড়ালো। ৮ দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর নার্সিং এসোসিয়েশন দিনাজপুর জেলা শাখার স্মারকলিপি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ইউনিয়ন সিএসওর লাইভস্টক সংলাপ সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় প্রেম করে বিয়ে অতপর ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে হত্যা করল স্বামী। দিনাজপুরে ৩ দিনব্যাপী উদ্যোক্তা মেলা ও পিঠা উৎসবের সমাপনী। দিনাজপুরের বিরলে শতাধিক নেতা-কর্মীর মামলা থেকে বাঁচতে ফ্যাসিস্ট আ,লীগ থেকে পদত্যাগ! অভিযোগ দিয়ে ও কাজ বন্ধ হচ্ছে না আদমদিঘীতে সরকারি জায়গা দখল করে করা হচ্ছে অবকাঠামো নির্মাণ! বগুড়ার কইপাড়ায় নববধূ শম্পা হত্যার অভিযোগ, যৌতুক দাবির জেরে স্বামী আটক দিনাজপুরে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে ক্যাসিনো জুয়া পরিচালনাকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার