admin || মুক্ত কলম সংবাদ
প্রকাশিত: ১৩ জুন, ২০২০ ৯:২৪ অপরাহ্ণ
এম এ সামাদ, ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদকঃ বর্তমান সময়ে অনলাইন ব্যবসা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ঘরে বসে এই ব্যবসা ম্যাক্সিমাম মেয়েরাই করে থাকে, এক একটি পন্য নিয়ে হাজির হয় লাইভে, চমকপ্রদ কথা আর রিভিউ বাড়িয়ে মেয়েদের মাঝে আকর্ষন বৃদ্ধি করে, এখনকার মেয়ে থেকে শুরু করে গৃহিনীরা ম্যাক্সিমাম সময় অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কেনাকাটা করে থাকে, তবে এই ব্যবসার অন্তরালে অনেকেই চিটিং ব্যবসা করে থাকে, তারা ঘরে বসেই মুলত কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে পার্সেল পাঠিয়ে হোম ডেলিভারি দিয়ে বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে।
অনেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে বাকিটা কন্ডিশনের মাধ্যমেও নিয়ে থাকে আবার অনেকে পুরোটাই কন্ডিশনের মাধ্যমে দিয়ে থাকে। প্রোডাক্ট নেয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত ক্লায়েন্টের সাথে ভালো ব্যবহার করে থাকেন কিন্তু ক্লায়েন্ট প্রোডাক্ট পাওয়ার পর যদি বুঝতে পারে তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে তখন আর সেই ক্লায়েন্টের কল ধরা হয় না এমনকি তার ম্যাসেজের রিপ্লাইও দেয়া হয় না, এছাড়া আগের ম্যাসেজের কমেন্ট গুলো গ্রুপ থেকে কৌশলে মুছে দেয়া হয়। এগুলো এখন অনলাইন ব্যবসার আড়ালে অহরহ ঘটছে। ইতিপূর্বে অনেক অনলাইন শপের বিরুদ্ধে এরকম ক্লায়েন্টদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে, কিন্তু তারপরও তাদের দৌরাত্ন থেমে থাকে নি। তারা একের পর এক প্রতারণার আশ্রয় নিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে আর আমাদের সমাজের সহজ সরল মেয়েরা, যারা চিন্তা করে ঘরে বসে থেকে সহজ উপায়ে প্রোডাক্ট হাতে পেয়ে টাকা দিব, সেই সব সহজ সরল মেয়েরা প্রতিনিয়ত এসব ধোকাবাজ অনলাইন শপের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হচ্ছে।
আজকের এই লেখাটা যাদেরকে নিয়ে তারা হলো ধানমন্ডির জেনেটিক প্লাজায় অবস্থিত সাবু শপের বিরুদ্ধে, প্রতারণা করে আসছে বহুদিন থেকেই, এর আগেও তাদের নামে কয়েকটি প্রতারণার নিউজ হয়েছে। কিন্তু থেমে নেই তাদের প্রতারণা, এই সাবু শপের মালিক মূলত সাবরিনা ইসলাম সাবু নামের উপরে দেয়া উক্ত ছবির মেয়েটি, দেখতে সুন্দরী, স্মার্ট, তারা মূলত মেয়েদের বিভিন্ন কসমেটিক প্রোডাক্ট বিক্রি করে থাকে। এক একটি প্রোডাক্ট এর গুনাগত মান সম্পর্কে তার পেজের মেম্বারদের সামনে লাইভ করতে থাকেন সুন্দরী তরুণী প্রতারক সাবরিনা ইসলাম সাবু। রংঢংয়ে বলার এক পর্যায়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থাকা মেয়ে, মহিলারা তার মিষ্টি কথায় ভুলে গিয়ে অর্ডার দিয়ে থাকে, অর্ডার শেষে কন্ডিশনের মাধ্যমে যখন প্রোডাক্ট হাতে পাই তখন বুঝতে পারে আসল প্রতারণা।
এমনি এক নারীর সাথে ঘটেছে এরকম প্রতারণা। মিরপুরের এক নারী তার পেজের মেম্বার, তার মুখের দাগের জন্য তিনটি প্রোডাক্ট যথাক্রমে ALIKE ব্র্যান্ডের ক্রিম, ফেসওয়াস ও গোল্ডেন পার্ল এর মাস্ক অর্ডার করেন, যার মূল্য ছিলো ৩৫৭০ টাকা। উক্ত নারী কন্ডিশনটি হাতে পেয়ে টাকা বুঝিয়ে দিয়ে প্যাকেট খুলে দেখেন যে, সবগুলোর প্যাকেট খোলা, আর উক্ত সাবু শপের পেজের ম্যাসেঞ্জারে পূর্বের কথা অনুযায়ী একটারও মিল নাই, দেয়ার কথা সাদা ক্রিম, দিয়েছে গ্রিন কালার এবং এক্টারও প্যাকেট ইন্টেক্ট নয়। সাথে সাথে উক্ত নারী ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে কল আর ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিলে উল্টা উক্ত ক্লায়েন্টকে ফেক বলে পাব্লিক কমেন্ট করতে থাকে এবং তার সকল ম্যাসেজ ডিলেট করে দিয়ে তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। শুধু প্রতারণার শিকার ওই নারী নয় এরকম আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী জানান যে, এরা প্রোডাক্ট গুলো দুবাই থেকে নিয়ে এসে বিক্রি করে থাকে বলে যে কথাগুলো লাইভে বলে থাকেন।
তা আসলে সত্য নয়, সেম প্রোডাক্ট অন্য পেজে অনেক কম মূল্য হলেও সাবু শপে এগুলোর মুল্য ডাবল অথচ তারা প্রতিনিয়ত আমাদের মত সহজ সরল মানুষের সাথে প্রতারণার করে যাচ্ছে। এসকল অনলাইন শপের বিরুদ্ধে এখনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলেও ভুক্তভোগীরা মনে করেন। এ ব্যাপারে সাবু শপের পেজে দেয়া নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। ধানমন্ডি থানায় বিষয়টি অবহিত করলে দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার জানান, অভিযোগ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে সাইভার ক্রাইমে সাবু শপের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।